প্রয়াত হলেন কাজী নজরুল ইসলামের কনিষ্ঠ পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বিশিষ্ট এই নজরুলগীতি শিল্পীর প্রয়াণে শোকতপ্ত দুই বাংলার সংস্কৃতি জগৎ। শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কাজী অনিরুদ্ধের স্ত্রী কল্যাণী। লড়াই করছিলেন মারণ রোগ ব্লাড ক্যানসারের সঙ্গে। শুক্রবার সব লড়াই শেষ করে সংসারের মায়া কাটালেন তিনি।
পরিবার সূত্রে খবর, সদ্য নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল তাঁর। শুরুতে দেশপ্রিয় পার্কের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীতে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসক রজত চৌধুরীর অধীনে চলছিল চিকিৎসা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়, তবে শেষরক্ষা হল না। মাল্টিঅর্গান ফেলিওর হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, মেয়ে অনিন্দিতা কাজী নিউ জার্সি থেকে এসে পৌঁছবেন শনিবার। তারপরেই শেষকৃত্যের আয়োজন করা হবে। পার্ক সার্কাসে গোরস্থ করা হবে প্রয়াত কল্যাণী কাজীকে। তবে আজ তাঁর মরদেহ পাইকপাড়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর পিস ওয়ার্ল্ডে শায়িত রাখা হবে।
এদিন শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “কল্যাণী কাজীর অসামান্য গায়কীতে গাওয়া নজরুলগীতি শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রাখত। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১৫ সালে তাঁকে সঙ্গীত মহাসম্মান প্রদান করে। তিনি পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যা ছিলেন। কল্যাণী কাজীর প্রয়াণে সঙ্গীত জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি কল্যাণী কাজীর আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।”