কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ ও করোনা আক্রান্তদের প্রাণে বাঁচানোই যে তাঁর প্রাথমিক লক্ষ্য, পরিবহণ মন্ত্রীর প্রথম পদক্ষেপেই তা বুঝিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম।
সোমবারই পুর ও নগরোন্নয়নের পরিবর্তে তাঁকে পরিবহণ ও আবাসন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তারপরেই তিনি প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও দফতরের প্রধান সচিবকে ডেকে পাঠিয়ে আগে পরিবহণ কর্মীদের ভ্যাকসিনেশন শুরু করার কথা বলেন। সেই মতোই মঙ্গলবার সকাল থেকে ময়দানে কলকাতা পুরসভার টেন্ট ও চেতলায় অহিন্দ্র মঞ্চ থেকে শুরু হয় পরিবহণ কর্মীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। একই সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিভুক্ত হকারদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
পরিবহণমন্ত্রী বলেন, পরিবহণ কর্মীরা সবচেয়ে বেশি রিস্কের মধ্যে রয়েছেন, তাঁরা সবচেয়ে বেশি এক্সপোজড। তাই সবার আগে তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া প্রয়োজন। তাঁরা সুস্থ থাকলে যাত্রীরাও সুরক্ষিত থাকবেন।
তবে টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রের কাছে টিকা চেয়েও পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছেনা। তাই আপাতত ক্যাটাগরি ভাগ করে টিকা দেওয়ার কাজ চলবে বলেও জানান তিনি। এলিট সিনেমা হল, হাওড়া বাস ডিপো, তারাতলা ডিপো, সল্টলেক, কসবা সহ রাজ্যের সমস্ত বাস ডিপোতেই পর্যায়ক্রমে তিকাকরন চলবে বলে তিনি জানান। ফিরহাদ বলেন, এদিন ১৫০ জন পরিবহণ কর্মীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সংখ্যাটা আরও অনেক বাড়ানো হবে। দেশে করোনা সংকটের জন্য কেন্দ্র সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতাকেই দায়ী করেন পরিবহণমন্ত্রী।