প্রবাদপ্রতীম শম্ভু ও তৃপ্ত মিত্র’র কন্যা শুধু নন। ‘নাথবতী অনাথবৎ’ যে তাঁর জীবন দর্শনেও। অভিনয় তাঁর রক্তে। কিন্তু সেলুলয়েডে তাঁকে সেভাবে দেখা যায়নি। ব্যতিক্রম ঋত্বিক ঘটকের ‘যুক্তি তক্কো গপ্পো’। সেখানে মা তৃপ্তি মিত্র, নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য্য, উৎপল দত্ত এমনকি স্বয়ং ঋত্বিকের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবালার ভূমিকায় সেই এক বারই তাঁকে বড় পর্দায় দেখা গেছে।
মঞ্চেই তিনি স্বচ্ছন্দ ছিলেন। ‘ডাকঘর’, ‘গ্যালিলিওর জীবন’ থেকে হালের ‘বিতত বিতংশ’ তাঁর অভিনয়ের রত্নখচিত অভিজ্ঞান। পিতা শম্ভু মিত্রর মতোই তিনিও সঙ্গীত নাটক আকাদেমি সম্মানে ভূষিত হয়েছেন ২০০৩-এ। পদ্মশ্রী পেয়েছেন ২০০৯-এ।
সর্বদাই প্রচার আড়ালে থাকলেও সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের অশান্ত সময়ে প্রতিবাদে মুখর হয়েছিলেন তিনি। সুতীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের গুলিচালনারও।
নিজের সেই ঋজু ব্যক্তিত্বের ছাপ রেখে গেলেন মৃত্যুকালেও। ফুলভারে নুইয়ে যাক মৃতদেহ তা তিনি চান নি। তাই আড়ালেই নশ্বর দেহ বিলীন হয়ে গেল শ্মশানে। রেখে গেলেন পিতা শম্ভু মিত্রর মতোই এক ঋজু আদর্শের অনন্য নজির।