নাগরিকদের পরিষেবা দেওয়াটাই পুরসভার কাজ। তাই পরিষেবা দিতে না পারলে বেতনটাও নেবেন না। শনিবার পুর শনিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক বৈঠকে আধিকারিকদের কড়া বার্তা দিয়ে এমনটাই বললেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বারবার বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিষেবা নিয়ে নানা অভিযোগ আসে। যার মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আলো সংক্রান্ত। মেয়র বলেন, যদি কোনও কাউন্সিলর আলো খারাপ হওয়ার অভিযোগ জানান, অথচ পুরসভার বিভাগীয় আধিকারিক স্টক নেই বলে দায় সারেন, এমন অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, এক একটি এলইডি আলোর জন্য পাঁচ বছরের কন্ট্রাক্ট থাকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সঙ্গে। তার আগে খারাপ হলে ওই ঠিকাদারকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হবে। আর স্টক থাকুক বা না থাকুক, সেটা মানুষের দেখার কথা নয়। তাঁদের পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব পুরসভার।শহরের সৌন্দর্য রক্ষা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণেও এদিন জোর দেন মেয়র। নজর দেন আগুন নিয়ন্ত্রণেও। ফিরহাদ বলেন, শহরের সমস্ত হকারদের দোকানের সামনে ওয়েস্ট বিন রাখতে হবে। যে কোনও আবর্জনা সেই ওয়েস্ট বিনেই ফেলতে হবে। কোনও ক্রেতা যদি নিয়মভঙ্গ করে রাস্তায় ময়লা ফেলেন, সেক্ষেত্রে দোকানদারকেই পরিস্কার রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। খদ্দের ফেলে দিয়ে গেছে, এমন অজুহাত শোনা হবে না। পাশাপাশি, শহর কলকাতার কোনও স্থানে আর প্লাস্টিকের শেড ব্যবহার করতে পারবেন না হকাররা।মেয়র বলেন, হকাররা এখন থেকে আর প্লাস্টিকের শেড ব্যবহার পারবেন না। প্রয়োজনে পুরসভার পক্ষ থেকে টিনের শেড ও হকারদের গাড়িতে চাকা লাগিয়ে দেওয়া হবে। যে কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে হকারদের ওই গাড়ি সরিয়ে দেওয়া হবে। কোনও স্থায়ী পার্টিশন দেওয়া চলবে না।সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মেয়র জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে শহরে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমবে। অন্যদিকে, প্লাস্টিক থেকে হওয়া অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও কমানো যাবে। হকাররা যাতে পুরসভার এই নিয়ম মেনে চলেন, সেই বিষয়ে নজরদারি চালাতে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও অনুরোধ করা হবে জানিয়েছেন মেয়র।