কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি পেয়েও নাকি তা করেননি অর্পিতা। শুক্রবার রাতে মেয়ের কীর্তি ফাঁস হতেই এমন তথ্য সামনে আনলেন অর্পিতার মা মিনতি মুখোপাধ্যায়। মেয়ে ২১ কোটির মালকিন হলেও মা মিনতি কিন্তু বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ায় স্বামীর ভিটেতেই নিতান্ত আটপৌরে জীবনে অভ্যস্ত। এমনকী, মেয়ের বিপুল সম্পত্তির খবরও তাঁর কাছে ছিল না বলে দাবি মিনতির। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মেয়ের নাম জড়াতেই প্রবল অস্বস্তিতে মধ্যবিত্ত মানসিকতার মিনতি। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ে অর্পিতা কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি পেয়েছিল। কিন্তু তা করতে চায়নি। কারণ, মেয়র ঝোঁক ছিল মডেলিংয়ে। শখ ছিল অভিনয় করারও। কিন্তু মেয়ে যে এ ভাবে ফেঁসে যাবে, শুক্রবারের আগে তা টের পাননি বলেই দাবি মিনতির।
এমনকী, অভিনয় জগতে একটু আধটু কাজ করছেন বলে জানলেও অর্পিতার রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথাও জানতেন না বলে দাবি পরিবার ও প্রতিবেশীদের। স্বাভাবিক ভাবেই বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ায় প্রতিবেশীদের মনে ঘুরছে প্রশ্ন, যে বাড়িতে পদধূলি দিয়েছিলেন স্বয়ং রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, সেই বাড়ির মেয়ে তবে কি বিলাসবহুল স্বেচ্ছাচারী জীবনের টানেই এড়িয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের হাতছানি?