বিশ্বকাপের মতো আইসিসি টুর্নামেন্টে নিউজিল্যান্ড বরাবর ভারতের জন্য বড় গাঁট। সেই ঐতিহ্য মেনেই দুবাইয়ের মাঠে ম্যাচ রেখে এল বিরাট বাহিনী। বিশ্ব সেরা ব্যাটিং লাইনআপকে যেভাবে বোল্ট, সাউদি, ইশ সোধিরা নাকানি-চোবানি খাওয়ালেন তাতে বিরাট বাহিনী আর বড়াই করে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি করতে যাবে না। আর এই ভাঙাচোরা ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে কিউয়ি ব্যাটসম্যানরা ভারতীয় ক্রিকেটের কঙ্কাল চেহারাটাই তুলে ধরলেন।
বহু বছর আগে বিশ্বকাপে স্পিনার দীপক প্যাটেলকে দিয়ে বোলিং ওপেন করিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১১০ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে বিরাট বরুণ চক্রবর্তীকে বোলিং আক্রমণ শুরু করলেন। কিন্তু আইপিএলের পারফর্মেন্স দেখে দল বাছাই করা টিম ম্যানেজমেন্ট কবে বুঝবেন বরুণ বা রবীন্দ্র জাদেজা আর যাই হোন অশ্বিণের বিকল্প হতে পারেন না। কোহলির ঠুনকো ইগো আর রবি শাস্ত্রীর একবগ্গা পছন্দ-অপছন্দের জাতাকলে ভারতীয় ক্রিকেট ব্যাকফুটে চলে গেল খানিকটা। এই টুর্নামেন্টে ভারতকে বাজি ধরতে চাইবেন না অনেকেই।
ভারতের ইনিংসের শুরু থেকেই শরীরি ভাষায় মনে হয়নি যে তারা জিততে পারেন। বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়ে হেঁদিয়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে ক্রিকেটই ফুরিয়ে যেতে বসেছে। কারণ একজন বুমরা দিয়ে যেমন বোলিং আক্রমণ হয় না, তেমনি ছন্নছাড়াসখেলোয়াড় দিয়েও দল গড়া যায় না। এক সময় মনে হয়নি ভারত ১০০ পেরিয়ে যাবে! উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টাই ছিল না কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে। তাই বড় শট মারতে না পারলেও সিঙ্গলস আর সিঙ্গলসকে দু’রানে পরিণত করার তাগিদ দেখা গেল না।
নিজেদের ব্যাটিংয়ের পরই হেরে গিয়েছিল ভারত। অবশেষে ৩৩ বল বাকি থাকতে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে উইলিয়ামসনরা যোগ্য হিসেবেই জয়ী হলেন।