রসে বশে বাঙালি। বাঙালি যেমন একদিকে ভ্রমণ পিপাসু, অন্যদিকে ভোজন রসিক। ঘুরতে গিয়েও তাই বাঙালি পর্যটকরা মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ খুঁজে বেড়ান। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শনের পাশাপাশি রীতিমতো গোয়েন্দার কায়দায় বাঙালি পর্যটকরা বাংলার মেনু কোথায় পাওয়া যায়, তার খোঁজখবর নিয়ে ফেলেন। উৎসবের মরশুমে সেই ভোজন রসিক বাঙালির জন্য বড় সুখবর। এবার পুজোর ছুটিতে ঘুরতে গেলেও মিলবে বাঙালি হেঁসেলের স্বাদ। যাতায়াতের পথে স্টেশনে বসেই কব্জি ডুবিয়ে বাঙালির পদে ভুরিভোজ করা যাবে। উৎসবের মরশুমে এমনই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রেল।
মহালয়া থেকে টানা দেড় মাস রাজ্যের বড় স্টেশনগুলির ফাস্টফুড সেন্টার ও ফুডপ্লাজাতে পাওয়া যাবে একাধিক বাঙালি পদ। তালিকায় লুচি, আলুর দম, ছোলার ডাল, ছানার কোপ্তা, রসোগোল্লা, কালাকাঁদ, রসমালাই, পায়েস যেমন থাকছে, তেমনই থাকছে পোলাও, মাছের ঝোল, ইলিশ ভাপা, পাঠার মাংস, চিংড়ি মাছের মালাইকারিও।
আইআরসিটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া, শিয়ালদা মালদা, বোলপুর, নিউ জলপাইগুড়ি-সহ বহু স্টেশনেই মিলবে এই বাঙালি খাবার। স্টেশনের পাশাপাশি ট্রেনে রেডি-টু-ইট হিসেবে ই-ক্যাটারিংয়ের মাধ্যমে অর্ডার করেও খাবার এতে পারেন যাত্রীরা। অর্থাৎ ট্রেনের কু-ঝিকঝিকের সঙ্গেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ। আবার কাউন্টার থেকে পার্সেলও নিতে পারবেন যাত্রী।