ঘিঞ্জি পাড়ার মধ্যেই স্টুডিও খুলে চলছিল পর্নোগ্রাফির শ্যুটিং। কিশোরী, তরুণীদের আনাগোনা লেগেই থাকত। সন্দেহ যে একেবারে হয়নি তা নয়, তবে উঠতি মডেল ভেবে এড়িয়ে গেছেন পড়শিরা। কিন্তু মডেলিংয়ের শুটিংয়ের আড়ালে যে এভাবে পর্ন ব্যবসা চলছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। মডেলিংয়ের নেপথ্যে টলিউডের এক অভিনেত্রীর যোগসূত্র রয়েছে। নিউটাউন পর্ন কাণ্ডে গরফার স্টুডিওয় হানা দিয়ে মালিককে গ্রেফতারের পর এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে। মালিককে জেরা করে চুঁচুড়া থেকে এক ফটোগ্রাফারকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তখনই ওই অভিনেত্রীর নাম উঠে এসেছে। তবে তিনি পর্ন শুটিংয়ের বিষয়টি আদৌ জানতেন কি না তা নিশ্চিত হতে পুলিশ খবর নিচ্ছে। নিউটাউন পর্ন কাণ্ডে ধৃত ফটোগ্রাফার মৈনাক ঘোষকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, গরফার একটি স্টুডিওতে শুট করা হত পর্ন ভিডিও। মডেলিংয়ের টোপ দিয়ে প্রথমে অল্পবয়সী কিশোরী, তরুণীদের আনা হত এই স্টুডিওয়। তারপর মডেলিংয়ের নামে নগ্ন ছবি তুলে শুরু হত ব্ল্যাকমেলিং। বাধ্য করা হত পর্ন ভিডিও করতে।
চাঞ্চল্যকর এই তথ্য হাতে আসার পর মৈনাককে সঙ্গে নিয়ে শনিবার গভীর রাতে গরফার ওই স্টুডিওতে হানা দেয় পুলিশ। ঘিঞ্জি পাড়ার মধ্যেই একটি বাড়ির একতলায় চলত স্টুডিও। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধারের পর গ্রেফতার করা হয় ওই স্টুডিওর মালিককেও। স্বাভাবিকভাবে এখনও পর্যন্ত নিউটাউন পর্ন কাণ্ডে গ্রেফতার বেড়ে হল চার। বিস্ফোরক তথ্য হল এই যে, স্টুডিও এলাকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই স্টুডিওয় নিয়মিত যাতায়াত ছিল বেশ কিছু টলি-তারকার। ফলে পর্ন কাণ্ডে এবার টলিউডের নাম জড়িয়ে পড়ছে। আতংক ছড়াচ্ছে টলিউডের অভিনেত্রী মহলে।
