করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ক্রমে উদ্বেগ বাড়ছে। এর মধ্যেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস। কেরলের পর এবার মহারাষ্ট্রে থাবা বসাল এই সংক্রমিত ভাইরাস। মহারাষ্ট্রের পুনেতে ৫০ বছর বয়সী এক মহিলা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁর পরিবারের সদস্যদের এখনও দেহে জিকা ভাইরাসের কোনও উপসর্গ নেই। ফলে এখনই এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন। তবে জিকা সংক্রমণ এড়াতে এই রোগের উপসর্গ সহ বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একঝলকে দেখে নিন জিকা-র উপসর্গ ও প্রতিরোধের উপায়…
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ-
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রথম লক্ষণ জ্বর। ক্রমে জ্বর ক্রমশ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে গায়ে ব়্যাশ ও হাত-পা, মাথায় ব্যাথা। অনেকের আবার জ্বরের সঙ্গে চোখে কনজাংকটিভাইটিসও হতে পারে।
জিকা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়-
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মূলত এডিস মশার মাধ্যমে জিকা ভাইরাস ছড়ায়। এডিস মশা কামড়ালে যে কেউ জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। আবার আক্রান্তকে কামড়ানোর পরে ওই মশাটি সুস্থ মানুষকে কামড়ালে তিনিও জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এভাবেই একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে জিকা ভাইরাস। তাই মশার কামড় থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেজন্য শোয়ার সময় নিয়মিত মশারি ব্যবহার, হাত-পা ঢাকা পোশাক পরা, মশা তাড়াতে স্প্রে, ধূপ, জেল ইত্যাদি ব্যবহার করা এবং সর্বোপরি বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা জরুরি। এডিস মশা পরিষ্কার জলে ডিম পাড়ে। তাই বাড়ির মধ্যে বা চারপাশে বা ছাদে কোথাও জমা জল না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া জিকা-আক্রান্ত এলাকা বা দেশে না যাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।