প্রতিভা তাঁরই যেন অপর নাম। একাধারে কত্থক শিল্পী, অন্যদিকে অনায়াসে বাজাতে পারতেন তবলা থেকে পাখোয়াজ সহ নানা তাল বাদ্য। অনবদ্য গাইতেন ঠুংরি, গজল, ভজন। সব ছেড়ে ৮৩ বছর বয়সে সুরলোকেই বিলীন হলেন পন্ডিত বিরজু মহারাজ। দিল্লিতে রবিবার রাতে নাতির সঙ্গে খেলছিলেন সদা হাস্যময় প্রতিভাধর মানুষটি। হঠাৎই শ্বাসকষ্ট হতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত ঘোষণা করা হয়।
কলকাতার সঙ্গে তাঁর ছিল আত্মার সম্পর্ক। মাত্র ১৪ বছর বয়সে এই মহানগরেই তিনি প্রথম মঞ্চে পারফর্ম করেন। সেই শুরু ‘মহারাজ’ পরিবারের কত্থক ঘরানার পতাকা তাঁর হাতেই ছিল অমলিন। পিতা অচ্চন মহারাজ, দুই কাকা লচ্ছু মহারাজ ও শম্ভু মহারাজের হাতেই তালিম হয় তাঁর। বিভিন্ন চলচিত্রেও কোরিওগ্রাফ করেছেন। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’তেও কোরিওগ্রাফ করেন। তবলায় বোল তুলে সেই সঙ্গে ঠুংরি গেয়ে আসর মাত করতে তাঁকে বহুবার দেখা গেছে। পদ্মবিভূষণ সম্মানে তিনি ভূষিত হয়েছেন।