পড়ুয়াদের সুবিধার্থে এবং স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমাতে নিজেরাই সেতু বানালেন শিক্ষকরা। সমস্যা ছিল মূলত যাতায়াতের। প্রায় চার কিলোমিটার পথ হেঁটে যেতে হত স্কুলে। যাতায়াতের এই ধকলের জন্য বাড়ছিল স্কুলছুটের সংখ্যা। পড়ুয়াদের বিদ্যালয়মুখী করতে তাই শিক্ষকরা নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে ক্যানিংয়ের মধুখালী এলাকায় বানালেন কাঠের সেতু। স্কুলছুট পড়য়াদের সংখ্যা কমার পাশাপাশি যাতায়াতের সুবিধা হবে স্থানীয় মানুষেরও।
আমফানের পর ক্যানিংয়ের মধুখালীতে ত্রাণ দিতে গিয়েছিলেন কলকাতার একদল শিক্ষক-শিক্ষিকারা। স্কুলের পাশেই রয়েছে মাতলার একটি শাখা খাল। এই খাল পেরিয়েই আশপাশের পড়ুয়াদের স্কুলে আসার কথা কিন্তু খালের উপর সেতু না থাকায় প্রায় চার কিলোমিটার পথ ঘুরপথে আসতে হয়। এই চার কিলোমিটার পথ বেশিরভাগ পড়ুয়াকেই হেঁটে আসতে হয়। শুধু তাই নয়, বর্ষার সময় খালে জল বাড়লেই বাড়ে বিপদ। সমস্যা উপলব্ধী করে শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত নেন তাঁরাই উদ্যোগ নিয়ে সেতু বানিয় দেবেন।
শিক্ষকদের উদ্যোগে প্রায় ১১৪ মিটার লম্বা সেতুটি নির্মিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, এক লক্ষের কিছু বেশি টাকা খরচ হয়েছে এই সেতু তৈরি করতে।
উদ্যোগী তথা রামমোহন মিশন স্কুলের প্রিন্সিপাল সুজয় বিশ্বাস বলেন, বিষয়টা জানার পর আমরা নিজেরাই উদ্যোগ নিই ১৫ দিনের মধ্যে এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য। বর্ষার আগে সেতু নির্মাণ করা না গেলে বর্ষায় ছাত্রদের অসুবিধার মধ্যে পড়তে হতো।