রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটের আগেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার কিছু এলাকা। কোথাও তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ কোথাও আবার বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এই সমস্ত ঘটনায় রবিবার রাত থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাথরপ্রতিমা, বজবজ ও ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের কিছু এলাকা। যার রেশ রয়েছে সোমবার সকালেও।
রবিবার রাত থেকে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাথরপ্রতিমার জি-প্লট এলাকা। সোমবার সকালেও জি-প্লটের তটের বাজারে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক উত্তেজনা। সংঘর্ষে উভয়পক্ষেরই বেশ কয়েকজন কর্মী গুরুতর আহত হন। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণে তাদের দলের ১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে তৃণমূলেরও দাবি বিজেপি কর্মীরাই তাদের কর্মীদের মারধর করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের পাঁচ কর্মী আহত হয় বলেও জানিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিকে রবিবার রাতে পাথরপ্রতিমারই ইন্দ্রপুর বাজারে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে। রাতে তৃণমূল কর্মীদের ঘর ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনাও ঘটে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। সোমবার সকাল থেকে বিজেপি কর্মীরা ইন্দ্রপুর বাজারে দোকানপাট জোর করে বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। রবিবার রাতে পাথরপ্রতিমার বুড়োবুড়ির তটে তৃণমূল কর্মী অশোক ভুঁইঞার বাড়িতে চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা। তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এদিকে ওই গ্রামেই সুধাংশু ভুঁইঞার সাইকেল ভ্যান ভাঙচুর করে তারা। বজবজ বিধানসভা কেন্দ্রের পূজালি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মী অশোক পালের বাড়ির সামনে রবিবার রাতে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। সোমবার সকালে সেখান থেকে উদ্ধার হয় ছ’টি তাজা বোমা। এদিকে ডায়মন্ডহারবার বিধানসভা কেন্দ্রের সরিষার কলাগাছিয়ায় তৃণমূল কর্মীদের ওপর রবিবার রাতে বিজেপি কর্মীরা আক্রমণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় চার তৃণমূল কর্মী আহত হয়ে ডায়মন্ডহারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে খবর।