Sambad Samakal

কলকাতার সঙ্গে গ্যাংস্টারদের যোগসূত্র কোনপথে?

Jun 12, 2021 @ 8:07 pm
কলকাতার সঙ্গে গ্যাংস্টারদের যোগসূত্র কোনপথে?

নিউটাউন এনকাউন্টার কাণ্ডে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে তদন্তকারীদের রিপোর্টে। সুদূর পঞ্জাব থেকে কলকাতায় কিভাবে যোগসূত্র গড়ে উঠল গ্যাংস্টারদের, তার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ (স্পেশাল টাস্ক ফোর্স) জানতে পারেন, এনকাউন্টারে নিহত দুই গ্যাংস্টার জয়পাল ভুল্লার ও জশপ্রীত সিং খাড়ারকে কলকাতায় নিয়ে আসা ভরত কুমার আদতে এই শহরেরই জামাই। কলকাতার চারু মার্কেটে তার শ্বশুরবাড়ি।
যদিও ভরতের সঙ্গে মেয়ের বিয়ের কথা জানেন না বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন ভরতের শ্বাশুড়ি ভারতী দেব। ২০১৮ সালে কারও সঙ্গে পাঞ্জাবে থাকবে বলেই ঘর ছেড়েছিল ভারতী দেবীর মেয়ে। ভারতী দেবী সঙ্গে কথা বলেই তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২৩ মে, যেদিন নিউটাউনের সুখবৃষ্টি আবাসনে দুই গ্যাংস্টারকে রেখে এসছিল ভরত, তার স্ত্রীও সেদিন কলকাতাতেই ছিল। ওই সময় বাড়িতে দেখা করতেই আসে ওই তরুণী। তবে রাত কাটায়নি। কিছুক্ষণ বসে চলে যায়। বলেছিল, হোটেলে উঠেছে। শেষবার মেয়ের সঙ্গে কথা হয় ২৭ মে। বলেছিল, পঞ্জাব পৌঁছে গিয়েছে।
এসটিএফ জানতে পেরেছে, ওই দুই গ্যাংস্টারকে সঙ্গে করে সড়ক পথে গাড়ি নিয়ে যেদিন কলকাতায় ঢুকেছিল ভরত, সেই ২০ মে’র দিনই বিমানে কলকাতায় এসেছিল ভরতের স্ত্রী। তারা দুজনে উঠেছিল সল্টলেকের একটি হোটেলে। তবে ভারতকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করে তার স্ত্রী জানায়, ভরত ফোন করে কলকাতায় আসতে বলেছিল। ওর এখানে কাজ ছিল। কিন্তু কী কাজ করত ভরত? উত্তরে তার স্ত্রী জানায়, তার স্বামী ভিআইপি নম্বরের কাজ করে। এছাড়া দুধ বিক্রি করে, বাড়িও বিক্রি করে।
অন্যদিকে, পঞ্জাব পুলিশের দাবি, ভরতের ভিআইপি মোবাইল নম্বর বিক্রির ব্যবসা ছিল। ক্রমে একাধিক প্রতারণার সঙ্গেও জড়িয়ে পড়ে সে। ক্রমে গ্যাংস্টারদের সঙ্গে যোগাযোগ। অপরাধীদের লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়ার কাজ করত সে। আর সেই সূত্রেই কলকাতায় থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল জয়পাল ও জসপ্রীতকে।

Related Articles