করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল না খুলে হোটেল রেস্তোরাঁ খোলা নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তারপরেই তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর প্রশ্ন, ‘একটাও বাচ্চার মৃত্যু হলে তার দায় কি দিলীপ ঘোষ নেবেন?’
করোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে ১ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি রাখলেও সোমবার বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের ঘোষণা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার মধ্যে অন্যতম হল হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলি খোলার ঘোষণা। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে রাজ্য বিজেপি। মঙ্গলবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘স্কুল খুললে খরচ বেড়ে যায়। আর হোটেল রেস্তোরাঁ খুললে সরকারের আয় বাড়ে।’ দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরই সরাসরি তোপ দাগেন। তাঁর কথায়, ‘ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিয়ে রাজনীতি করছেন দিলীপ ঘোষ।’ পাল্টা যুক্তি দিয়ে ফিরহাদ বুঝিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রী যা করেছেন সঠিক কাজ করেছেন। দিলীপ ঘোষকে পরিবহণমন্ত্রীর পাল্টা কটাক্ষ, ‘এগুলো বোকা বোকা কথা। এর পেছনে একটাই কারণ। তা হল অর্থনীতিকে চালু রাখা এবং পরের প্রজন্মকে সুরক্ষিত করা। আমাদের পরের প্রজন্মকে নিয়ে বা বাচ্চাদের নিয়ে খেলা করার অধিকার দিলীপ ঘোষের নেই। মুখ্যমন্ত্রী যা করেছেন তা অত্যন্ত দূরদৃষ্টিতার পরিচয় দিয়েছেন।’
বাচ্চাদের টিকাকরণ সম্পূর্ন না হওয়ার কারণেই রাজ্য স্কুল কলেজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে বলেও জানান ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের ভ্যাকসিন নীতিতে গলদ থাকার কারণেই সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। দীর্ঘ এক বছর সময় অতিবাহিত হলেও কেন্দ্র কোনও নীতি তৈরি করতে পারেনি ভ্যাকসিন নিয়ে। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের চাপে ভ্যাকসিন নিয়ে নির্দিষ্ট নীতি অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। তিনি দিলীপ ঘোষকে আবারও আক্রমন শানিয়ে বলেন, ‘যদি দিলীপ ঘোষ এমনই বলে থাকেন তবে, মোদি সাহেবকে গিয়ে বলছেন না কেন, অন্যান্য রাজ্যের মতো বাচ্চাদের ভ্যাকসিনটা আগে দিতে? কেন ১০০ শতাংশ ভ্যাক্সিনেশন এখনও বাংলায় হচ্ছে না? সেই প্রশ্ন করার দিলীপ ঘোষের সাহস আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে?’