Sambad Samakal

অধীরের অনুরোধে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বহরমপুর ও কল্যাণীতে অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল

Jun 16, 2021 @ 9:00 pm
অধীরের অনুরোধে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বহরমপুর ও কল্যাণীতে অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কথা দিয়ে কথা রাখলেন। বাংলায় অস্থায়ী জোড়া কোভিড হাসপাতাল তৈরির নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বহরমপুর এবং কল্যাণীতে পিএম-কেয়ার্স তহবিলের ৪১.৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে জোড়া কোভিড হাসপাতাল উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল দুটি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিআরডিও। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে এমনই খবর মিলেছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সাংসদ অধীর চৌধুরী পিএম কেয়ার্সের টাকায় অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরির আর্জি জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এবার কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীকে দেওয়া সেই কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পরই বাংলা বঞ্চনার কথা অনেকটা ম্লান হয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে অধীর চৌধুরী আর্জি জানিয়েছিলেন, মুর্শিদাবাদে কোভিড চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। তাই পিএম কেয়ার্স তহবিলের টাকা ব্যাবহার করে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট একটি অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল গড়ে তোলা হোক স্থানীয় মানুষের জন্য। সূত্রের খবর, সিবিআই প্রধান নির্বাচনের দিনে তিনি সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রীও তাঁকে সে বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে বলেন, দ্রুততার সঙ্গে অধীরের লোকসভা কেন্দ্রে একটি বড় অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল তৈরি করবে ডিআরডিও।
উল্লেখ্য, প্রথমে ঠিক ছিল বহরমপুরে ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল তৈরি হবে। কিন্তু পর্যাপ্ত জমির অভাবে তা ঠিক করা হয় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট করা হবে। সেই মতোই অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতেও তার উল্লেখ করেন। কিন্তু কাজ শুরু করতে গিয়ে দেখা গেল বহরমপুরে যে জায়গা হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ হয়েছে, তাতে খুব বেশি ২৫০ বেডের হাসপাতাল তৈরি যেতে পারে। তারপরই কেন্দ্রের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পিএম কেয়ার্স তহবিলের টাকায় বহরমপুরে একটি এবং কল্যাণীতে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে সাধারণ মানুষের জন্য। দুটি হাসপাতালই তৈরি হবে ২৫০ বেডের। দুটি হাসপাতাল গড়ে তোলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরিরও অনুরোধ ছিল অধীরের। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিআরডিও সেই প্ল্যান্ট তৈরি করে দিয়েছে।

Related Articles