ফের শহরে অগ্নিকান্ড। সোমবার সকালে বড়বাজার লাগোয়া কলুটোলা স্ট্রিটের চার তলার একটি দোতলা বাড়িতে আগুন লাগে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। দ্রুত বিল্ডিংয়ের আশপাশের লোকজনকে সরিয়ে আনা হয়েছে। ফলে হতাহতের কোনা খবর নেই। দুপুরে খবর লেখা পর্যন্ত দমকলের ২০টি ইঞ্জিনের তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলছে।
এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ আগুন লাগে। এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায়, দ্রুত আগুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দমকল সূত্রের খবর, আশপাশের বাড়িগুলি কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দমকলের ইঞ্জিনের পাশাপাশি আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হচ্ছে হাইড্রলিক ল্যাডারও। তাতে উঠে ইঞ্জিনের সাহায্যে জল ছুঁড়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের কালঘাম ছুটছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে উদ্বেগও। দমকল কর্মীদের আগুন নেভাতে সাহায্য করছেন পুলিশ কর্মীরাও। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন।
কলুটোলা স্ট্রিটের যে বাড়িতে আগুন লেগেছিল, তার পাশের দুটি বাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে প্রথমে। উল্টোদিকের বাড়ির জানলা থেকে দমকল কর্মীদের জল দিতে হচ্ছে। পাশাপাশি বেশকিছু বাড়ি আগুনের গ্রাসে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, পুজোর আগে প্রচুর পরিমাণ বস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী মজুত করা ছিল কলুটোলা স্ট্রিটের এই চারতলা বাড়িটিতে। সোমবার সকালে আচমকাই তার দোতলায় আগুন লেগে যায় এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
বড়বাজার সংলগ্ন এই এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি। বাড়িগুলির মধ্যে তেমন ফাঁক প্রায় নেই বললেই চলে। আর বেশিরভাগ বাড়ি ব্যবহৃত হয় গুদাম হিসেবে। এই বাড়িটিও তেমনই গুদামঘর হিসেবে ব্যবহার করা হত বলে জানা গিয়েছে। দমকল কর্মীদের প্রাথমিক অনুমান, কোনওভাবে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে গিয়েছে। আর এলাকা যেহেতু ঘিঞ্জি, তাই আগুন সহজেই ছড়িয়ে পড়েছে। এই মুহূর্তে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে।
অন্যদিকে, এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কতটা ক্ষতি হয়েছে, তা এখন জানা না গেলেও, পুজোর আগে মজুত করে রাখা বেশিভাগ জিনিসই আগুনে পুড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়িটিতে আগুন লাগার সময় কেউ না থাকায়, কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা এই অঞ্চলে নেই বললেই চলে। আগুন নেভানোর উপযুক্ত পরিস্থিতিও এলাকায় নেই বলে জানিয়েছেন দমকল কর্তৃপক্ষ। পকেটে পকেটে আগুন জ্বলছে।