পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির অশনি সঙ্কেত চিনে নিয়েই শেষ পর্যন্ত বিতর্কিত তিন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বিতর্কিত তিন আইন নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন কৃষক সংগঠনগুলি। তবে পরিস্থিতি সব থেকে কোনঠাসা পাঞ্জাবে। দীর্ঘদিনের জোট সঙ্গী অকালি দলও মুখ ফিরিয়েছে। নতুন বন্ধু ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংও শর্ত দিয়েছেন কৃষি আইন বাতিলের। তাই শেষ পর্যন্ত দেশের অন্নদাতাদের প্রবল চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত মাথা নোয়াতে বাধ্য হল মোদি সরকার।
শুক্রবার সকালে মোদি জাতির উদ্দেশে তাঁর ভাষণে ঘোষণা করেছেন, যে কেন্দ্র ৩টি কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গুরু নানকের জন্মদিনকে হাতিয়ার করে সর্বদা চমকের রাজনীতিতে বিশ্বাস করা প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা খুব একটা বিষ্মিত করেনি রাজনীতিক বিশ্লেষকদের। কারণ পাঞ্জাবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া বিজেপিকে অক্সিজেন দিতে এই বিতর্কিত আইন প্রত্যাহার করতেই হত মোদিকে।
লক্ষ্য শুধু পঞ্জাব নয়। সামনের বছর উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায়ও নির্বাচন। কৃষক নেতারা উত্তরপ্রদেশেও শক্তি বাড়াচ্ছেন। আর এভাবে চলতে থাকলে ‘গো-বলয়ে’ বিজেপি ক্রমশ একঘরে হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও ছিল। তাই ক্ষোভে উত্তাল পাঞ্জাবকে সোমে ফেরাতে, আর উত্তরপ্রদেশে হারানো জমি প্রত্যাহারই এখন বিজেপি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের অন্যতম লক্ষ্য। তবে কারণ যাই হোক, স্বাধীনতার পর দেশের সব চাইতে বড় কৃষক আন্দোলন যে সফল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।