“ডাকলেই যাকে পাওয়া যায়, তিনিই হলেন শ্রেষ্ঠ কাউন্সিলর।” মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার মেয়র পদে শপথ নিয়ে এমনটাই বললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার সফলতম প্রাক্তন মেয়র দায়িত্ব নিয়েই কাজ শুরু করে দিলেন। জানালেন, আগের বোর্ডের অসমাপ্ত কাজ শেষ করাই অগ্রাধিকার। মেয়রের কথায়, “আমরা কলকাতা পুরসভার সব নির্বাচিত কাউন্সিলররা সবাই সেবক। আমি প্রধান সেবক।”
এদিন দ্বিতীয়বার কলকাতার মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন ফিরহাদ হাকিম। ডেপুটি মেয়র পদে শপথ নিলেন অতীন ঘোষ, চেয়ারপার্সন পদে শপথ নিলেন মালা রায়। মেয়র পারিষদ হিসেবে শপথ নিলেন ১৩ জন কাউন্সিলর।
প্রতি বছর পুরসভার কাজের রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করার কথা আগেই বলেছিলেন ফিরহাদ। এদিন শপথ নিয়েও সেই কথা ফের বলেন। কোন কোন কাজে অগ্রাধিকার? সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘শহরে যে ৬টি পকেটে জল জমে, সেখানে নতুন পাম্পিং স্টেশন হবে। খালগুলো পরিষ্কার করা হবে। পাম্পের শক্তিও আরও বাড়ানো হবে। বিজ্ঞাপনের জন্য যে দৃশ্য দূষণ হয় সেটা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হবে। পুরনো বাড়ির ক্ষেত্রে নতুন ভাবে আইন করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যাঁরা থাকেন, তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয় সেটা দেখা হবে।” ফিরহাদ এদিন কলকাতার ঐতিহ্য রক্ষার বিষয়েও জোর দেন। বলেন, “কলকাতার ঐতিহ্য রক্ষায় বিশেষভাবে মনোযোগী হবে পুরসভা। ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলিকে রক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
মেয়র আরও বলেন, “কলকাতা শহরের রাস্তার উন্নতি একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ৬ মাস অন্তর পুরসভা রিপোর্ট কার্ড পেশ করবে। রিভিউ মিটিং করে রিপোর্ট কার্ড পেশ করা হবে। নতুন প্রকল্প চালু হবে, শো ইওর মেয়র। মেয়রকে সরাসরি হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এলাকার সমস্যা দেখানো যাবে। বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদনে অ্যাপের মাধ্যমে সিঙ্গল উইন্ডো ব্যবস্থা চালু হবে এটা দু’বছরের মধ্যে পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে। অ্যাপের মাধ্যমে পার্কিং দুর্নীতির মোকাবিলা করা হবে।”
শপথ নিয়েই শহরে জল জমার সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলেন ফিরহাদ হাকিম। বিরোধীদের তাঁর কটাক্ষ, “ভেনিস দেখতে হলে চেন্নাই, মুম্বই, দিল্লিতে যান। বৃষ্টির প্যাটার্ন চেঞ্জ হয়েছে। শহরে যে ৬টি পকেটে জল জমে সেখানে নতুন পাম্পিং স্টেশন হবে। খালগুলো পরিষ্কার করা হবে। পাম্পের শক্তি আরও বাড়ানো হবে। কলকাতা শহরের রাস্তার উন্নতি একটা বড় চ্যালেঞ্জ।”