প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। বিধানসভা চত্বরে আম্বেদকরের মূর্তিতে মাল্যদানের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল নিজের ক্ষোভ উগরে দেন চাঁচাছোলা ভাষায়। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এদিন ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দেন স্পিকার।
এদিন রাজ্যপাল অভিযোগ তোলেন, “বাংলায় গণতন্ত্র বিপদের মুখোমুখি। এখানে ভোটারদের পছন্দমতো ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস সেই কথাই প্রমাণ করে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভার স্পিকার অমর্যাদাকর মন্তব্য করেন। আমার ভাষণ ব্ল্যাক-আউট করা হয়। বিরোধী দলনেতাকে বাধা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক জেলাশাসকরা বয়কট করেন। বাংলায় আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে।”
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সরাসরি নিশানা করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের চিঠির উত্তর দেন না। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। রাজভবনে বিল আটকে আছে বলে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়। রাজ্যপালের দফতরে কোনও ফাইল বা বিল আটকে নেই।”
এরপরেই পাল্টা তোপ দাগেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমরা জানতাম উনি এসে আম্বেদকরের মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন। আমরা সকলেই সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু রাজ্যপাল এসে যে ভাবে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার ও বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেন তা অসৌজন্যমূলক। ওনার কিছু বলার থাকলে হাউসে বলতে পারতেন। মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার থাকলে রাজভবনে ডেকে কথা বলতে পারতেন। এই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে এই ধরনের আচরণ সমর্থনযোগ্য নয়। রাজ্যে অনেক রাজ্যপাল এসেছেন কিন্তু এই ধরনের আচরণ কেউ করেননি। অনেক বিলই ওনার কাছে আটকে রয়েছে। উনি যা বলেছেন তা ঠিক বলেননি।”