বৃহস্পতিবার রাখীবন্ধনের দিনই হাতে হাতকড়া পরেছেন বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডল। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, গ্রেফতারির আগে কয়েক দিন ধরেই মন ভালো ছিলনা তাঁর। বিশেষ কথাবার্তা বলছিলেন না কারোর সাথেই। এমনকী মঙ্গলবার কলকাতা থেকে বোলপুরে ফেরার পরে ঘরে বসে কান্নাকাটিও করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল! রাজ্য রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের পরিচিত ছিল ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ নেতা হিসেবেই।
অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই মানসিক ভাবে কিছুটা ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। হয়তো বুঝতে পারছিলেন কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। তাই বোলপুরে ফিরে এসে সরকারি চিকিৎসককে অনুরোধ করেছিলেন ‘বেড রেস্ট’ লেখার জন্য। মরিয়া হয়ে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ফোন করে অপারেশনেরও আবদার করেছিলেন তিনি। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় অশনি সঙ্কেত দেখেছিলেন অনুব্রত।
শেষ কয়েক দিন ধরে তাঁর বাড়িতে চেলা-চামুন্ডাদের ভিড়ও ছিল কম। একবারও দেখা করতে আসেননি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সতীর্থ চন্দ্রনাথ সিংহ। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠে নিজের ঘর থেকে বেরোননি। অথচ অন্যান্য দিন ঘুম থেকে উঠে স্নান করে মা কালীর পুজো করেন অনুব্রত। নিজের ঘরের বিছানাতেই একটানা বসেছিলেন। চেনা রুটিনের বদল দেখে ঘনিষ্ঠরা বুঝতে পেরেছিলেন কিছু একটা ঘটতে চলেছে।