১৭৫৭ সালে প্রথম শোভাবাজার রাজবাড়িতে বিরাট সোনার সোনার সিংহাসনে প্রতিমা সাজিয়ে শুরু হয়েছিল রাজকীয় দুর্গাপুজো। সেই সময়ে এই পুজোর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন ইংরেজরা। বিশিষ্ট অতিথিদের অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন সস্ত্রীক কর্ড ক্লাইভও। ১৭৭১ সাল থেকে দুই শাখায় বিভক্ত হয়ে ছোট তরফ ও বড় তরফের নামেই পরিচিতি লাভ করে শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। এইখানে মা দুর্গার বিশেষ ছাঁচের খাসবাংলা মুখ। নবাবী শৈলির ডাকের সাজ ব্যবহৃত হয়।
রথ ও উল্টোরথে কাঠামো পুজো শুরু হয়। কৃষ্ণানবমীকল্পে বোধন হয়, ষষ্ঠী অবধি প্রতিদিন চলে চন্ডীপাঠ। অন্নভোগের পরিবর্তে রাজবাড়ির ভোগে থাকে ফল, মিষ্টি, চাল ও মিঠাই। পুজোর বাড়িতে ভিয়েন বসিয়ে তৈরি করানো হয় গজা, দরবেশ, পান্তুয়া, জিলিপি, সিঙ্গাড়া, নিমকি।
ছোট তরফে এখনও পাঁঠাবলির চল থাকলেও, বড় তরফে চালকুমড়ো, আখ ও মাগুর মাছ বলি দেওয়া হয়। দশমীর দিন বিসর্জনের আগে ওড়ানো হয় নীলকন্ঠ পাখি। কালের বিবর্তনে সম্প্রতি মাটির নীলকন্ঠ পাখি গড়ে বিসর্জন দেওয়া হয় ও নীলকন্ঠ পাখি আঁকা ফানুস ওড়ানো হয়। জোড়া নৌকা থেকে মাঝগঙ্গায় বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গাকে।