ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে ৮০ ফুট লম্বা দুর্গাদালান সহ প্রকাণ্ড প্রাসাদ নির্মাণ করেন খেলাৎচন্দ্র ঘোষ। বর্তমানে যা পাথুরিয়াঘাটা রাজবাড়ি নামেই পরিচিত। ১৮৪৬ সালে সেখানে শুরু হয় দুর্গাপুজো। এখানে মঠমৌরি চালায় রুপোর ডাকের সাজে সুসজ্জিত ঘোটকাকৃতি সিংহবিশিষ্ট দেবী দুর্গার পুজো হয়। রুপোলি তবকে মোড়া সিংহাসনে বসেন মা। পুজোয় ব্যবহার্য সমস্ত বাসনপত্রও তৈরি হয়েছে রুপো দিয়ে।
ঠাকুরদালানেই নবপত্রিকা স্নান করানো হয়। পুজোর পাঁচদিনই কুমারী পুজো ও সধবা পুজোর রীতি রয়েছে এখানে। সন্ধীপুজোয় হাজার একটি পদ্ম উৎসর্গ করা হয় মায়ের কাছে। লুচি, মিষ্টি, ক্ষীর, ভাজা, মালপোয়া, নাড়ু, চন্দ্রপুলির পাশাপাশি চালের নৈবেদ্যও দেওয়া হয়। পশুবলির পরিবর্তে এখানে বলি দেওয়া হয় বাটা চিনির মঠ। একসময়ে কাশী থেকে তা আনানো হত। দশমীতে কামান দাগা বা নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানোর রীতি এখন বন্ধ। তবে জোড়ানৌকায় মাঝগঙ্গায় নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমা।