নন্দীগ্রাম গণহত্যায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত লক্ষ্মণ শেঠকে সহ সভাপতি লক্ষণ শেঠকে দলের সহ সভাপতি পদে বসল প্রদেশ কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের এই ঘোষণার পরেই নিন্দার ঝড় রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সুতাহাটার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক লক্ষ্মণ শেঠকে দলের গুরুত্বপুর্ণ পদে বসিয়ে কার্যত এবার নন্দীগ্রাম গণহত্যার দায় কাঁধে তুলে নিল কংগ্রেস।
সিপিএম থেকে বহু আগেই বহিষ্কার করা হয় লক্ষ্মণ শেঠকে। এরপর নিজের আলাদা দল গড়ে কলকে পাননি। পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরেও গুরুত্ব না পেয়ে আপ দলে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। এমনকী, যোগাযোগ শুরু করেন তৃণমূলের সঙ্গেও। কিন্তু “নন্দীগ্রাম গণহত্যার নায়ক” লক্ষ্মণ শেঠকে দলে নিতে অস্বীকার করে ঘাসফুল শিবির। এরপরেই কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলান লক্ষ্মণ। গত লোকসভা ভোটে তাঁকে টিকিটও দেয় কংগ্রেস। কিন্তু তারপরও তিনি তৃণমূল আর আপের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন বলে খবর। আর তাই তাঁকে দলে ধরে রাখতেই কংগ্রেস গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এর জেরে নন্দীগ্রাম গণহত্যার দগদগে ক্ষত মনে ফের জেগে উঠবে এবং কংগ্রেসেরই ক্ষতি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এবিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।