শহর আগরতলা ছাড়া জেলা সদরগুলিতে দোলের আগেই গেরুয়া আবিরের চাহিদা বেড়ে গেল। অপ্রত্যাশিত ভাবে কান ঘেঁষে সংখ্যাগড়িষ্ঠতা পেল ভারতীয় জনতা পার্টি ও আইপিএফটি জোট।
যদিও বিজেপির এই জয়ের আনন্দ খানিকটা ফিকে হয়ে গেল বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী যিষ্ণু দেববর্মা চড়িলাম থেকে এবং দলের প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বনমালীপুর কেন্দ্র থেকে পরাজিত হওয়ায়।
তবে বাম-কংগ্রেস জোট অন্তত ১৩ টি আসনে নিশ্চিত জয় পেতে ব্যর্থ হয়েছে আদিবাসী ভোট থেকে বঞ্চিত হয়ে। উল্লেখযোগ্য ভাবে অসংরক্ষিত আসনেও মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মনের তিপরা মথা পার্টি আদিবাসী ভোট কেটে বিজেপিকেই সুবিধা করে দিয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের পুরনো কেন্দ্র ধনপুরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক এবার জয়ের স্বাদ পেয়েছেন মথা’র ভোট কাটাকাটি অংকে।
আবার উল্টোদিকে বেশ কিছু কেন্দ্রে বামেদের ভোট আলাদা হওয়ায় মথাও পরাজিত হয়েছে। সব মিলিয়ে বিজেপির পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে মথাই হতে যাচ্ছে ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল। তিনটি আসন পেয়ে ফের ত্রিপুরা বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব থাকবে কংগ্রেসের।
সাড়া জাগিয়েও ত্রিপুরায় ছাপ রাখতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র ০.৮৮ শতাংশ ভোট পেয়ে সকল প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছে। উল্টে ৭ রামনগর কেন্দ্রে তৃণমূল রাজ্য সভাপতি পিযুষ বিশ্বাসের পুত্র আইনজীবি পুজন বিশ্বাস সংখ্যালঘু ভোট কেটে বাম-কংগ্রেস সভর্থিত নির্দল প্রার্থী পুরুষোত্তম বর্মনের পরাজয়ের কারণ হিসেবেই চিহ্নিত হয়েছেন।