অয়নের বাড়িতে হানা দিতে চলেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আধিকারিকরা। আগেই সেকথা জানতেন অয়নের মডেল বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। এমনকী, ইডি হানার আগের রাতে ম্যাসেজ করে অয়নকে সতর্কও করেছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে অয়ন ও শ্বেতার চ্যাট হিস্ট্রি হাতে আসতেই চোখ কপালে ওঠে তদন্তকারীদের। যেখানে অয়নকে সতর্ক করে শ্বেতা লিখেছে, ”ইডি রেইড করতে পারে। জিনিসপত্র সরিয়ে নাও।”
এই ঘটনা সামনে আসতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ ইডি কর্তাদের। তাঁদের প্রশ্ন, ইডির গতিবিধি আগেই কীভাবে জানতে পারলেন শ্বেতা? তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির জেলে পাড়ার বাসিন্দা শ্বেতা। বাবা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ছিলেন। এলাকায় সবাই জানেন, তিনি মডেলিং এর কাজ করেন। বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে যাতায়াতও করেন। তবে আদতেই তাঁর বেশিরভাগ সময় ব্যয় হত অয়নের প্রোমোটারির ব্যবসা সামলাতে। তদন্তকারীদের অনুমান, অয়নের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ছিল তাঁর। যেখানে নিয়োগ দুর্নীতির টাকাও জমা হত।এমনকী অয়নের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে শ্বেতার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কিন্তু এহেন মডেল শ্বেতা কীভাবে ইডি হানার খবর আগাম জানতে পারলেন। সূত্রের খবর, এই ঘটনা সামনে আসতেই ইডির অন্দরে প্রশ্ন, তাহলে কি মডেল শ্বেতার হানিট্র্যাপের শিকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারই কোনও শীর্ষকর্তা?