এপ্রিল মাসের শুরুতেই অসহ্য গরমের জেরে কার্যত নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় কলকাতাবাসীর। তীব্র গরমের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই এসির ওপর ভরসা করছেন। উল্টোদিকে, ক্রমাগত শহর কলকাতায় বড় বড় গাছ কেটে গজিয়ে উঠছে আকাশচুম্বী হাইরাইজ। বড় রাস্তার ধারে গাছের ছায়া খুঁজে পাওয়াই এখন দুষ্কর হয়ে উঠেছে। যথেচ্ছ বৃক্ষনিধনই কি দায়ি এই মাত্রাতিরিক্ত গরমের জন্য! কীভাবে আদৌ এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে আম জনতা? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবার জোরের সঙ্গে নিজের মত ব্যক্ত করলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র। এমনকী কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম সহ সমাজের একাধিক বিশিষ্ট নাগরিকদের কাছে দিলেন অভিনব প্রস্তাবও।
ফেসবুকে লোপামু্দ্রা লিখেছেন, “গরমটা কি সহ্য হচ্ছে ?? হবে?? আমার পাড়ায় ফুটপাথের ধারে যে বড় গাছগুলো আছে, বড় বা ছোট ঝড় এলে কেউ বাঁচবে না, কারণ, শেকড় মেলার জায়গা নেই, ঘাড়ের কাছে বড় বড় বাড়ি, ডালপালার ব্যালেন্স কমে যাচ্ছে। যে গাছগুলো গত বছর ঝড়ে বা আমফান, ইয়াশে পড়ে গেছে, তাদের জায়গায় আমরা নতুন কোন গাছ বসাই নি, কিছু গাছ বসালেও তার যত্ন নিইনি। লেক, সার্দান অ্যাভনিউ বিরাট অঞ্চল জুড়ে অনেক অনেক গাছ আজ আর নেই।”
এরপরেই এক অভিনব প্রস্তাব দিয়ে লোপামুদ্রা লিখেছেন, “দক্ষিণ কলকাতার লেকে কি জঙ্গল বানাতে পারি না আমরা? আমি আমার এলাকাটুকু নিয়েই আপাতত ভাবছি, স্বার্থপরের মতো। কিছু কি করা যেতে পারে?? সবাই মিলে?? গা বাঁচানোর আরেক নাম সহ্য, আর হচ্ছে কি??”
ফেসবুকের এই পোস্টে লোপামুদ্রা ট্যাগ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, শিল্পী অনুপম রায়, রূপম ইসলাম, চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জী, সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকার সহ একাধিক সংস্থাকেও। এখন দেখার সহ-নাগরিক হিসেবে লোপামুদ্রা মিত্রের এই প্রস্তাবে আদৌ কেউ সাড়া দেন কিনা।