নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এবার তার বিরুদ্ধেই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট সুপ্রিমকোর্টে পেশ করল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই।
সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সমস্ত নিয়ন্ত্রণই ছিল সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের হাতে। তার নেতৃত্বেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হত, আর বাকিরা তাতে সম্মতি দিতেন। ২০১৬ ও ২০১৮ সালে দু’বার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মানিকের কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। সিবিআই জেরায় এমনটাই দাবি করেছেন তৎকালীন পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী।
সিবিআইয়ের দাবি, বেআইনিভাবে কিছু চাকরিপ্রার্থীকে অতিরিক্ত নম্বর পাইয়ে দিয়েছিলেন মানিক। যার ফলে তারা নিয়োগপত্র পেয়েছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, উর্দু মাধ্যমের দু’জন প্রার্থী যারা বাংলা ভাষায় টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণই হতে পারেননি, তাদের বাংলা মাধ্যম সরকারি স্কুলে চাকরি দেওয়া হয়েছিল মানিকের আমলে। শুরু থেকেই তদন্ত প্রক্রিয়া সামগ্রিক ভাবে এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, নিজেদের রিপোর্টে এমন অভিযোগও করেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা।