বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের লুকিয়ে রাখা হচ্ছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। আর তারপর সেই নিরাপদ আশ্রয় থেকেই চড়া অর্থের বিনিময়ে তাদের পাচার করে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এমনই তথ্য উঠে এসেছে এনআইএ তদন্তে।
চলতি বছরের গোড়াতেই দেশে মানব পাচারের এই বিশাল জাল ছড়িয়ে থাকার তথ্য সামনে আনে অসম পুলিশ। আর তারপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে তদন্তে নামে এনআইএ। বুধবার সেই তদন্তেই মিলল বড়সড় সাফল্য। বাংলা সহ ১০ রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩ জন, ত্রিপুরা থেকে ২১ জন, কর্নাটক থেকে ১০ জন, অসম থেকে ৫ জন, তামিলনাড়ু থেকে ২ জন এবং তেলঙ্গানা, পুদুচেরি ও হরিয়ানা থেকে ১ জন করে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশই মানব পাচারে ‘মিডলম্যান’ হিসাবে কাজ করত। মূলত বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদেরই এ দেশে অনুপ্রবেশে সাহায্য করত ধৃতরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গোপনে আশ্রয় দেওয়ার নামে ভারতের এইসব রাজ্যে রোহিঙ্গাদের লুকিয়ে রাখছে মানব পাচার চক্রের সদস্যরা। তারপর সুযোগ বুঝে পাচার করে দেওয়া হচ্ছে তাদের।
ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে নকল আধার কার্ড ও প্যান কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। নগদ ২০ লক্ষ টাকা ও ৪৫৫০ মার্কিন ডলারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।