রামমন্দির উদ্বোধনের নামে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী উন্মাদনার বিরুদ্ধে সোমবার শহর কলকাতার রাজপথে সংগঠিত হল মহামিছিল। প্রায় ২০০টি গণসংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এদিনের মহামিছিল শুরু হয় সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে। মিছিল শেষে জনসভা অনুষ্ঠিত হয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএমএল লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম, অধ্যাপক মেরুণা মুর্মু সহ অন্যান্যরা।
এদিনের জনসভায় রামন্দিরের নাম করে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরির বিজেপির চক্রান্তের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ করে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “গুজরাটে সোমনাথ মন্দির তৈরির সময়েও সেই সময়ের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ অবস্থানের কথা মাথায় রেখে তিনি যাননি। কিন্তু আজ নরেন্দ্র মোদি নিজেই হিন্দু ধর্মের প্রচার করছেন, শুধু ভোটের দিকে তাকিয়ে।”
সিপিআইএমএল লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “এই দেশের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গোটা দেশে একটা ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ত্ব কায়েমের চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে বৃহত্তর মঞ্চ গড়ে লড়াই করতেই হবে। যেমন ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে, তেমনই এই ২০০ সংগঠনের জোট আগামীদিনে লড়াইকে আরও শক্তিশালী করবে।”