Sambad Samakal

Arjun-Mukul: ভোট প্রচারে বেরিয়ে মুকুল রায়কে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং

Mar 29, 2024 @ 3:51 pm
Arjun-Mukul: ভোট প্রচারে বেরিয়ে মুকুল রায়কে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং

বীজপুরে ভোট প্রচারে বেরিয়ে মুকুল রায়ের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। শুক্রবার দুপুরে কাঁচরাপাড়ার ঘটক রোডে মুকুল রায়ের বাড়ি পৌঁছন অর্জুন। তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পর বর্ষীয়ান এই নেতার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন।দীর্ঘদিনের সতীর্থকে আশীর্বাদ করেন মুকুল। সেই সাক্ষাতের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অর্জুন সিং নিজে। লিখেছেন, “আজ কাঁচড়াপাড়ার ঘটক রোডে বর্ষীয়ান নেতা মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে ওনার আশীর্বাদ নিলাম। ওনার সঙ্গে আমার বহু পুরানো সম্পর্ক। উনি ‘বিজয়ী ভব’ বলে আমাকে উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন। আমি ওনার সুস্থতা কামনা করলাম।” যদিও দুপুরে খবর লেখা পর্যন্ত এবিষয়ে মুকুল রায় বা তাঁর ছেলে, বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিন সকালে কাঁচড়াপাড়া থানা মোড়ে শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে সকলের মঙ্গল কামনা করেন অর্জুন। তারপর যান কাঁচড়াপাড়ায় মুকুল রায়ের বাড়ি। সেখান থেকে বেরিয়ে নিজের নামে দেওয়ালও লিখলেন বারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকে অর্জুন সিং যখন তৃণমূলে যোগ দেন, সেসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহযোদ্ধা হিসেবে মুকুল রায়ের পরিচিতি, জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ইউপিএ আমলে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। তৃণমূলে ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড। অর্জুনকে প্রথমবার বিধানসভার টিকিট পাইয়ে দিতে মুকুলের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। পরে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে নারদ স্টিং অপারেশনে নাম জড়ানোর পর মুকুল রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন। খাতায় কলমে এখনও তিনি বিজেপির বিধায়ক। যদিও পরে বদল করে ফের ঘাসফুলের পতাকা হাতে নেন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ। তাঁর মস্তিষ্কের কেমিক্যাল ব্যালেন্স এর সমস্যার কথা জানিয়েছে পরিবার। অসুস্থতার কারণেই বারবার তাঁর নানা মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে চর্চার কারণ হয়েছে। এদিকে, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে অর্জুন সিং দলবদল করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেই সময়েও মুকুল অর্জুন রাজনৈতিক সতীর্থ হয়ে যান। এরপর আবার অর্জুন যখন তৃণমূলে ফিরেছিলেন, তখন মুকুলও ঘাসফুলেই।

Related Articles