Sambad Samakal

Jalpaiguri Storm: ঝড়ে বিপর্যস্তদের পাশে রাতেই মমতা, হেল্পডেস্ক রাজভবনের

Apr 1, 2024 @ 12:32 am
Jalpaiguri Storm: ঝড়ে বিপর্যস্তদের পাশে রাতেই মমতা, হেল্পডেস্ক রাজভবনের

রবিবার দুপুরের কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড জলপাইগুড়ি। রাতে খবর লেখা পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে পাঁচ। আহত শতাধিক। ভেঙেছে গাছ, উড়েছে বাড়ি ও দোকানের চাল, নষ্ট হয়েছে খেতের সবজি, ফসল। এই অবস্থায় রাতেই কলকাতা থেকে বাগডোগরা উড়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে সড়কপথে পৌঁছলেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহতরা। দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে দুর্গতদের জন্য রাজভবনে ২৪ ঘণ্টার হেল্পডেস্ক চালু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। জলপাইগুড়ির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও।
রাত সাড়ে ৯ টায় কলকাতা থেকে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। সাড়ে এগারোটা নাগাদ পৌঁছন জলপাইগুড়িতে। তার আগে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “ঝড়ে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি দুই জেলারই ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু জলপাইগুড়িতে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত প্রচুর। একটি শিশুকে নেউটিয়া হাসপাতাল ও অন্য একজনকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। রাজ্যে নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে গেছে। প্রশাসন সম্পূর্ণ বিষয় সামলাচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। জলপাইগুড়ির মহকুমা শাসক তমোজিত চক্রবর্তী জানান, “বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের তরফে হেল্পডেস্ক খোলা হয়েছে।”

রবিবার বেলা তিনটে নাগাদ জলপাইগুড়িতে ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়। এদিন ঘন্টায় অন্তত ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকায়। দোসর শিলাবৃষ্টি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ময়নাগুড়ির রাজারহাট, বার্নিশ, বাকালি, জোরপাকড়ি, মাধবডাঙা, সাপ্টিবাড়ি গ্রাম। প্রচুর পাকাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চাল উড়েছে কয়েক হাজার বাড়ির। গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে জখম শতাধিক। শিলের আঘাতেও জখম হন পথচারীরা। বিঘার পর বিঘা ভুট্টা, বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, লঙ্কা খেত তছনছ হয়েছে।
খবর পেয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেল তিনি লিখেছিলেন, “ঝড়বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ির বীভৎস পরিস্থিতি। প্রাণ গিয়েছে বহু। জখমও হয়েছেন অনেকে। ভেঙেছে ঘরবাড়ি। উপড়ে গিয়েছে গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি। জেলা, ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কুইক রেসপন্স টিম ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয়। দুর্গতদের উদ্ধারের কাজ শুরু করে। বিপর্যস্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে আহতদের পরিবারের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছি। প্রশাসনের তরফেও ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হবে।” এরপর এদিন রাতেই জলপাইগুড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী।

Related Articles