শুরুটা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে। অপরাধীদের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু করেছিল পুলিশ-প্রশাসন। আর তার দেখাদেখি বেশ কিছু বিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকারও একই পন্থা অবলম্বন করতে শুরু করে। এই ‘বুলডোজার রাজ’এর বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিল দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। এবার গুয়াহাটি হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার শিকার হল অসম পুলিশ। সরকারি আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতিরা বলেন, আইনের বই খুলে দেখানো হোক যে কোন ধারায় পুলিশ এই ধরনের কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, অসমের নওগাঁ জেলার পুলিশের বিরুদ্ধে এক মাদক কারবারে যুক্ত অপরাধীর ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় হামলা, ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগও রয়েছে। যার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আরএম ছায়া এবং বিচারপতি সৌমিত্র সইকিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ বলে, এসব সিনেমার পর্দায় চলতে পারে, বাস্তবে এমন সাজা কাউকে দেওয়া যায় না।
স্থানীয় পুলিশ সুপারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি ছায়া মন্তব্য করেন, “উনি চাইলে বুলডোজার অপারেশন নিয়ে সিনেমা করতে পারেন। কিন্তু পুলিশের হাতে এমন কোনও আইন নেই। কোনও ব্যক্তির বাড়ি ভেঙে দেওয়া তো দূরের কথা, বিনা অনুমতিতে প্রবেশ পর্যন্ত করতে পারেনা পুলিশ।” প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের মতে, পুলিশকে মনে রাখতে হবে আমরা গণতান্ত্রিক সমাজে বাস করি। কোনও অপরাধীকে সাজা দেওয়ার এক্তিয়ার একমাত্র আদালতের রয়েছে, পুলিশের নয়।