আশা আশঙ্কায় ফুটছে ফুটবল বিশ্ব। কাতার বিশ্বকাপের ক’য়েক ঘন্টা আগেও ফুটবল বোদ্ধা থেকে চায়ের ঠেক চলছে দু’ দলের চুলচেরা বিশ্লেষণ। তারকার দ্যুতিতে ফ্রান্স এগিয়ে। ক্লাব ফুটবলের তারকারা ফ্রান্স দলের সম্পদ। ইউরোপীয়ান ঘরানার ফুটবলে বিশ্বকাপের ছ’টি ম্যাচে দুরন্ত গতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছে গতবারের বিজয়ী ফ্রান্স। টানা নব্বই মিনিট বিপক্ষের অর্ধে দুরন্ত গতিতে হানা দিতে সক্ষম জিরু, এমবাপেরা। এমবাপেকে নিয়ে মাতামাতি থাকলেও ফ্রান্সের আক্রমণের মূল স্থপতি কিন্তু গ্রীজম্যান। ঠান্ডা মাথায় মাঝ মাঠ থেকে আক্রমণ সাজিয়ে চলেছেন এই ফুটবলার। তাই তারুণ্য, শক্তি এবং গতির নিরীখে ফ্রান্স অবশ্যই কাগজে কলমে এগিয়ে রয়েছে।
তুলনায় আন্ডারডগ হিসেবে মাঠে নামবে মহাতারকা লাওনেল মেসির নেতৃত্বে নীল-সাদা ব্রিগেড। মেসি ও ডি মারিয়া ছাড়া আর্জেন্টিনা দলেও তারুণ্যের অভাব নেই। কিন্তু মাঠে আর্জেন্টিনার আক্রমণের জেনারেল কিন্তু মেসিই। গোল করার চাইতেও গোল করানোতে মেসি মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন চলতি টুর্নামেন্টে। ধারে-ভারে এবং অবশ্যই স্কিলে এই মেসি অনেক বেশি পরিণত। বিপক্ষের তিনজন ডিফেন্ডারকে ঘাড়ে করে নিয়েও ছুটে যাচ্ছেন বিপক্ষের বক্সে। বিপক্ষের অর্ধে হঠাৎ ছুটে চলা চোরা গতিতে বোকা বানিয়েছেন বিপক্ষ ডিফেন্সকে। সঙ্গে আলভারেজ, মাতিওর যোগ্য সঙ্গত আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে এসেছে।
কাতারের লুসেইল স্টেডিয়ামে জনসমর্থন যে মেসিদের দিকেই সিংহভাগ থাকবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই শব্দব্রহ্মের জোরে মেসি তাঁর অন্তিম আন্তর্জাতিক ম্যাচকে রঙীন করে তুলতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।