ভাই ফোঁটা যখন কোথাও নিছক পারিবারিক উৎসব তো জনপ্রতিনিধিদের কাছে জনসংযোগও বটে। যদিও পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়ানে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো রকম ফোঁটার আয়োজন করেন নি তবুও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিদের ফোঁটা নিতে দেখা গেল। বিদ্যুৎ ও ক্রীড়া-যুব কল্যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নবনীড় বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে ফোঁটা নেন।
ব্যতিক্রমী ভাই ফোঁটা নিলেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরি। রেনুকা মাড্ডি, যে বাড়িতে নিজের পুত্রের মরদেহ রেখেও ২০১৯-এ অধীরকে ভোট দিতে গিয়ে শিরোনামে এসে ছিলেন শনিবার তাঁর হাতেই ফোঁটা নিলেন অধীর। হাতে তুলে দিলেন প্রীতি উপহার।
মিষ্টির উপাচার সাজিয়ে ভাই শুভাশিসকে ফোঁটা দিতে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়।
বিজেপি’র প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা ফোঁটা নিলেন নিজের দুই দিদি ও বোনের কাছে।
অন্যরকম ফোঁটা পেলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও রাসবিহারীর বিধায়ক দেবাশিস কুমার। নীলমণি মিত্র স্ট্রীটে দুর্বার সংস্থার আয়োজনে যৌন কর্মীরা ভাই ফোঁটা দিলেন এই দুই বিধায়ক দাদা কে।
শিলিগুড়িতে আয়োজন হয়েছিল বিরল ভাই ফোঁটা। বৃহন্নলারা ফোঁটা দিলেন সেখানে।