প্লাস্টিকের ব্যবহার শুধু পরিবেশের দূষণের মাত্রাই বাড়াচ্ছে না, তা ভয়ংকর সংকটের মুখে নিয়ে যাচ্ছে আগামী প্রজন্মকে। গবেষণায় উঠে আসা এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য ঘুম কেড়েছে বিজ্ঞানীদের। যেখানে জানা যাচ্ছে, প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাত দ্রব্যের উৎপাদন এবং ব্যবহারের জেরে ক্রমশ ক্ষুদ্র হচ্ছে পুরুষাঙ্গ। কমছে শুক্রাণু উৎপাদনও। এর ফলে একদিকে যেমন ধাক্কা খাচ্ছে যৌন জীবন, তেমনই একইসঙ্গে প্রজনন ক্ষমতাও হারাচ্ছে পুরুষ।
গবেষণা বলছে, যত দিন যাচ্ছে, পুরুষাঙ্গ ছোট হয়ে যাচ্ছে মানুষের। বলা ভালো, যে সব শিশুরা জন্ম নিচ্ছে, তারা ছোট বা ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গ নিয়েই ভূমিষ্ঠ হচ্ছে। পরিবেশ বিজ্ঞানী শানা শন তাঁর নতুন বই ‘Count Down’-এ লিখেছেন, মনুষ্য জাতির অস্তিত্ব সংকটের মুখে। কারণ, ক্রমেই ক্ষুদ্র হয়ে যাচ্ছে পুরুষাঙ্গ। যার জেরে প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে বহু মানুষের এবং অনেকের আবার শুক্রানু উৎপাদন ক্ষমতা ঠেকছে তলানিতে। যা সমস্ত মানব জাতির কাছে চ্যালেঞ্জ।
তিনি জানিয়েছেন, প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকজাত দ্রব্য উৎপাদনের ফলে ‘Phthalate’ নামে একটি রাসায়নিক নির্গত হয়। সেই রাসায়নিক এন্ডোক্রাইন সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। ফলে হরমোন তৈরির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এই, ‘Phthalate’ নামের রাসায়নিক প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যকে নরম এবং ফ্লেক্সিবল করতে সাহায্য করে।
বিজ্ঞানী শানা শনের গবেষনায় উঠে এসেছে, ‘Phthalate’ সিন্ড্রোম সরাসরি মানব ভ্রূণকে ক্ষতি করছে। দেখা গিয়েছে, মায়ের গর্ভেই শিশুর পুরুষাঙ্গ যথাযথ আকার পায়নি। আর এর জেরেই অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি মানব জাতি