ব্রিগেডের মাঠে দেখা গিয়েছিল রামধনু পতাকা। মঞ্চে উঠে বাম নেতা মহঃ সেলিমও জানিয়েছিলেন তাঁদের উপস্থিতির কথা। তারপর নির্বাচনের ইস্তেহারেও তৃতীয় লিঙ্গ, রূপান্তরিত মানুষদের নিয়ে অনুচ্ছদ জুড়েছে বাম দলগুলি। এবার আরও এক কদম এগিয়ে তাদের নিয়ে রীতিমতো মত বিনিময় সভার আয়োজন করল বাম দলগুলি। মৌলালির কাছে শ্রমিক ভবনে রাজ্যের বেশ কিছু এলজিবিটিকিউ আন্দোলনের সংগঠন ও ব্যক্তি হাজির হয়েছিলেন তাঁদের নিজেদের কথা বলতে। বিধানসভা নির্বাচনে বাম প্রার্থীরাও অনেকেই মvন দিয়ে শুনলেন সেই আলোচনা।
রূপান্তরিত মানুষদের প্রতিনিধিদের চাঁচাছোলা মত শুনেও স্মিত হেসেছেন সুজন চক্রবর্তী, ফুয়াদ হালিম সহ বিভিন্ন বাম নেতারা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন বামেদের সদিচ্ছা নিয়েও। কেন প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই হয় নি তাদের সংগঠনের কোনো প্রতিনিধি। বা এই প্রান্তিক মানুষদের জন্য বাধ্যতামূলক আলাদা শৌচাগার কেন হবে না। অনেকে আবার চাকরিতে সংরক্ষণের দাবিও করেছেন।
বাম পরিষদিয় দলের বিদায়ী নেতা সুজন চক্রবর্তী আশ্বস্ত করেছেন তাঁদের জোট ক্ষমতায় এলে এই বিষয়ে আলাদা দপ্তর গঠন করা হবে। ফুয়াদ হালিম অবশ্য শুধু দপ্তরের আশ্বাসেই থামেন নি তার সঙ্গে আলাদা গণ সংগঠন গড়ার পরামর্শও দিয়েছেন এই সংগঠনগুলিকে। বামেদের হ্যাশট্যাগ প্রচার লেফ্ট ফর রেনবো রাইটস রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই অংশের মানুষদের রাজনীতির আঙিনায় টেনে এনে বামেরা বেশ চমক দিয়েছে বলা যেতে পারে।