দীর্ঘ আট বছর ধরে চলা ধর্ষণের মামলায় অবশেষে বেকসুর খালাস পেলেন তেহেলকার প্রতিষ্ঠাতা তরুণ তেজপাল। শুক্রবার এই রায় দিয়েছে গোয়ার একটি আদালত।
এদিন রায় ঘোষণার পর আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তরুণ তেজপাল। ন্যায়বিচারের জন্য আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে মিথ্যা ফাঁসানো হয়েছিল। বিগত সাড়ে সাত বছর আমার পরিবারের কাছে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। এই মিথ্যা অভিযোগের ফলে ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের প্রতি পদে আমরা যন্ত্রণা ভোগ করেছি। সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে তবেই এই রায় দিয়েছে আদালত। মুক্তি পাওয়ার পরে করোনায় মৃত তাঁর আইনজীবী রাজীব গোমসকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তেজপাল।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে গোয়ায় একটি কনফারেন্স চলাকালীন এক মহিলা সহকর্মীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে, গোয়ার এক হোটেলের লিফটে ওই মহিলা সহকর্মীকে যৌন নিগ্রহ করেন তরুণ তেজপাল। গোয়া পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন ওই মহিলা। এরপর ২০১৩ সালে গ্রেফতার করা হয় তরুণ তেজপালকে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর ২০১৭ সালে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় তেজপালের বিরুদ্ধে। মামলার শুনানি শুরু হয় গোয়ার আদালতে। এর আগে অবশ্য বম্বে হাই কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা খারিজের আবেদন করেছিলেন তিনি। দেশের শীর্ষ আদালতেও শ্লীলতাহানির মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তেজপাল। যদিও সেই আবেদনকে মান্যতা দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট।