নির্ধারিত সময়ের আগেই স্থলভাগে আছড়ে পড়ল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। বুধবার সকাল সওয়া ন’টা নাগাদ ওড়িশার বালেশ্বর ও ধামরার মধ্যবর্তী স্থানে আছড়ে পড়েছে ‘যশ’। তবে সবেমাত্র ‘যশ’-এর ‘চোখ’ স্থলভাগে ঢুকেছে। প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে এর ল্যান্ডফল চলবে বলে আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে। হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার।
অন্যদিকে, ওড়িশার বালেশ্বর, ধামরার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের দিঘা, মন্দারমনি, হলদিয়া সহ পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন সহ সাগরদ্বীপে ‘যশ’-এর প্রভাব পড়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। তীব্র জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। দিঘায় সমুদ্রের জলে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে গ্রাম, ভেঙে পড়েছে বোল্ডার।
তবে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা বিধ্বস্ত হলেও কলকাতা, হাওড়া ও সংলগ্ন এলাকায় ‘যশ’-এর বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলে আবহবিদরা জানিয়েছেন। কলকাতায় ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হওয়া। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৮৫ কিলোমিটার।