যশ তছনছ করে দিয়েছে ওদের জীবন। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে হওয়া তীব্র জলোচ্ছ্বাসে ডুবেছে ঘরবাড়ি। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিকের পথে, সবেমাত্র যখন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছন ওঁরা, ঠিক এমন সময়ই ফের বিপর্যয়ের বার্তা। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে টানা চারদিন দুর্যোগের পাশাপাশি শুক্রবার অমাবস্যার ভরাকোটালে বান আসার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আর তার জেরেই ফের ভিটে ছাড়া ওঁরা। প্রাণহানি রুখতে আগাম সতর্কতায় দিঘা-মণ্দারমণি, তাজপুর-উদয়পুর সহ উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরাল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে বাসিন্দাদের স্থানান্তরিতকরণের প্রক্রিয়া। শুক্রবার সকালে খবর লেখা পর্যন্ত সিংহভাগ মানুষকেই স্থানান্তরিত করা সম্ভব হয়েছে। বাকিদেরও স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া দুপুরের মধ্যেই শেষ হবে বলে আশাবাদী জেলা প্রশাসন। এদিকে, এদিন সকাল থেকেই শুরু হয়েছে জোয়ার। সমুদ্রের পাশাপাশি উত্তাল হয়েছে গঙ্গাও। ফলে উপকূলবর্তী এলাকায় বাড়তি সতর্কতার পাশাপাশি নজর রাখা হয়েছে গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলিতেও। প্রশাসনের ধারণা, গঙ্গায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পৌঁছতে পারে ৫ মিটার পর্যন্ত। জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে জলপুলিশকে।