ভারতের টিকাপ্রাপ্ত কোভিড পজিটিভদের সিংহভাগই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত! আইসিএমআর-এর এমন রিপোর্ট ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, কোভিড টিকার একটি ডোজ নেওয়ার পর যাঁরা করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁদের ৮৬.০৯ শতাংশই ডেল্টা প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে প্রশ্নের মুখে টিকার কার্যকারিতা। যদিও টিকাপ্রাপ্তদের মৃত্যুর হার কম বলে জানা গিয়েছে আইসিএমআর-এর ওই সমীক্ষায়।
আইসিএমআর মোট ৬৭৭ জনের উপর এই সমীক্ষা চালিয়েছিল। এঁরা প্রত্যেকেই কোভিড পজিটিভ ছিলেন। এঁদের মধ্যে ৭১ জন কোভ্যাক্সিনের ডোজ নিয়েছিলেন, আর বাকি ৬০৪ জন নিয়েছিলেন কোভিশিল্ডের ডোজ। দু’জন নিয়েছিলেন চিনা সিনোফার্ম ভ্যাকসিন। টিকাপ্রাপকদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর খবর পরে মিলেছিল। মৃত্যুর হার ছিল মাত্র ০.৪ শতাংশ।
এর মধ্যে মোট ৬৭ জনের অর্থাৎ ৯.৯ শতাংশের হাসপাতালে ভরতি হয়ে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছিল। দেশের ১৭টি রাজ্য তথা কেন্দ্রশাসিত এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই রাজ্যগুলি হল মহারাষ্ট্র, কেরল, গুজরাট, উত্তরাখণ্ড, কর্নাটক, মণিপুর, অসম, জম্মু-কাশ্মীর, চণ্ডীগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, পণ্ডিচেরি, নয়াদিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু। আক্রান্তদের ৪৮২ জন, অর্থাৎ ৭১ শতাংশ ছিলেন উপসর্গযুক্ত, বাকি ২৯ শতাংশ ছিলেন উপসর্গহীন। উপসর্গ যুক্তরা মূলত জ্বর (৬৯ শতাংশ), গায়ে ব্যথা-মাথা ব্যথা-বমিভাব (৫৬ শতাংশ), কাশি (৪৫ শতাংশ), গলা ব্যথা (৩৭ শতাংশ), স্বাদ ও গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া (২২ শতাংশ), ডায়েরিয়া (৬ শতাংশ), শ্বাসকষ্ট (৬ শতাংশ) এবং চোখের সমস্যা, লালভাব (১ শতাংশের ক্ষেত্রে) প্রভৃতি সমস্যায় ভুগছিলেন বলে আইসিএমআরের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।