আদালতে ফের টেট-অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে খতিয়ে দেখবে আদালত। এবার তাই ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে সম্পূর্ণ নিয়োগ তালিকা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে ২২ সেপ্টেম্বর জমা দিতে হবে সেই নিয়োগ তালিকা ও নথিপত্র।
মামলাকারী উত্তরবঙ্গের ওই বাসিন্দা স্বদেশ দাস আদালতকে জানিয়েছেন, ২০১৪-র প্রাথমিকের টেটে পাস করে ২০১৭-তে চাকরি পান তিনি। কিন্তু তিনদিন ক্লাস করানোর পরই তাঁকে জানানো হয়, তাঁর নিয়োগ বৈধভাবে হয়নি। জানানো হয়, তাঁর যোগ্যতা সংক্রান্ত কোনও নথিও সরকারের কাছে নেই। ফলে চাকরি যায় তাঁর।
এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্বদেশ দাস। প্রথমে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। মামলাকারী আদালতকে জানান, ২০১৪-র প্রাথমিকের টেটের ভিত্তিতে তাঁর মতো কারা চাকরি পেয়েছিলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনে তা জানতে চান তিনি। জবাব মেলার পর মামলাকারী জানতে পারেন, এমন অনেকেই চাকরি পেয়েছেন, যাঁদের যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয় নথিপত্র নেই।
গত ২৭ অগাস্ট মামলাটি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জনস্বার্থ মামলা হিসেবে সেটিকে গ্রহণ করার অনুরোধে সম্মতি মেলে।
বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে ২০১৪-র টেটের ভিত্তিতে নিয়োগ তালিকা ও অন্যান্য নথিপত্র জমার নির্দেশ দেয় আদালত।