স্বপ্নরেখা সেনশর্মা
ফের নতুন নাটক। নেটিজেনরা বলছেন, অনেকটা সেই চালুনি বলে সুঁচকে, তোর পিছনে একটা ছিদ্র। বৈশাখী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন মনজিৎ মন্ডল। শুধু অভিযোগ নয়, এমন অভিযোগ তুলেই স্বামীর থেকে ডিভোর্স চাইলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, স্বামীকে ‘মুক্তি’ দিতে চান তিনি। নিন্দুকেরা বলছেন, সাড়ে তিন বছর যিনি প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকছেন তিনি কিভাবে স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন ? নাকি, পুরোটাই গটআপ? শোভনের বিপুল সম্পত্তি ও অর্থের উত্তরাধিকার পেতেই স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে প্রাক্তন মেয়রকে বিয়ের ছক কষছেন ? যদিও রত্নার কাছ থেকে ডিভোর্স না পাওয়া পর্যন্ত শোভন আইন মেনে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না। তা হলে বৈশাখীর এই স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চাওয়ার নাটক কেন ? প্রশ্ন আইনজীবীদেরও। নিজের ফেসবুকে মঙ্গলবার মনের কথা খুলে বলেন প্রাক্তন অধ্যাপিকা বৈশাখী। বলে দেন, গত তিন বছর তাঁর স্বামী জড়িয়েছেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে। তাঁরা একসঙ্গে মাঝে মধ্যে বিদেশেও যায়। এমনকী ওই মহিলার একটি মেয়েও রয়েছে। তাই আর কোনও বিবাদে না গিয়ে পাকাপাকি ডিভোর্সের পথেই হাঁটতে চাইছেন। বৈশাখী বলছেন, “বাকিরা যখন বলে, আমার স্বামী অন্য কারও সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেটা শুনতে ভাল লাগে না। আমারও তো মান-সম্মান আছে।” বস্তুত এতদিন পরে নিজের মানসম্মান সচেতন হওয়ায় বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টানতে চাইছেন বৈশাখী। অবশ্য মনোজিৎ জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কী করছেন না করছেন, সে উত্তর কাউকে দিতে তিনি রাজি নন। তিনি আরও বলেন, বৈশাখী যখন তাঁর সঙ্গে থাকতে চাননি, তখন তিনি আপত্তি করেননি। বউ বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সময়ও তাঁকে আটকাননি। মাস কয়েক আগে ফেসবুকে নিজের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছবি পোস্ট করে জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘The journey from Me to We begins…’। অর্থাৎ ‘শুধু আমি থেকে আমাদের একসঙ্গে পথচলা শুরু’। এমনকী, প্রোফাইলের নাম বদলে ‘বৈশাখী শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়’ করেছিলেন। তারপরই জানা গিয়েছিল, নিজের স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি বৈশাখীর নামে লিখে দিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। আর এবার তো সরাসরি স্বামীর বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ তুলে নিজের ডিভোর্স চেয়ে নতুন একটা বোমা ফাটালেন বৈশাখী।