মঙ্গলবার মাঝরাত থেকে চলা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার জেরে বুধবার সকালে ভেঙে পড়ল আস্ত একটা বাড়ি। এদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে পৌনে ৭টার মধ্যে জরাজীর্ণ দোতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। দীর্ঘক্ষণ চাপা পড়ে থাকার পর শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় শিশুকন্যা সহ মোট আটজনকে।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, এক শিশুকন্যা সহ পরিবারের একাধিক মানুষ আটকে পড়েন ধ্বংসস্তূপের তলায়। এর মধ্যে প্রথমে চারজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা সম্ভব হলেও আটকে পড়ে শিশু সহ এক বৃদ্ধা। ভাঙা অংশের তলায় দীর্ঘক্ষণ চাপা পড়ে থাকার পর শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় শিশুকন্যা সহ মোট আটজনকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালায় NDRF, পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছন মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং সুজিত বসু। পৌঁছন কলকাতা পুলিশের কমিশনারও। পরে ঘটনাস্থলে যান পুর প্রশাসন ফিরহাদ হাকিম।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জরাজীর্ণ এই বাড়িটির একাংশ ভেঙে পড়ে। বিকট আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। নিজেরাই হাত লাগিয়ে প্রথমে দু’জনকে উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ৯ নম্বর আহিরীটোলা লেনের ওই দোতলা বাড়িটিকে পুরসভার তরফে আগেই বিপজ্জনক হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। দমকলের অনুমান, টানা বৃষ্টিতে আরও ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ে বাড়িটির ভীত। দেওয়াল ধসে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ভেঙে পড়ে সেটি। ভেঙে পড়া চাঙড় সরাতে গ্যাস কাটারের ব্যবহার করেন দমকল কর্মীরা।