Sambad Samakal

৬০ হাজারের বেশি ভোটে কীভাবে জিতবেন মমতা? যুক্তি ফিরহাদের

Oct 1, 2021 @ 12:02 am
৬০ হাজারের বেশি ভোটে কীভাবে জিতবেন মমতা? যুক্তি ফিরহাদের

স্বপ্নরেখা সেনশর্মা

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন শেষে ভবানীপুর কেন্দ্রে ৫৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়ায় স্বস্তি ও খুশির হওয়া মমতার শিবিরে। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দে্যাপাধ্যায়ের অন্যতম সেনাপতি ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছেন, ” এবার ৫০ হাজারের চেয়েও অনেক অনেক বেশি ভোটের ব্যবধানে জিতবেন মুখ্যমন্ত্রী।” ওয়ার্ড ভিত্তিক ভোটদানের তথ্য বিশ্লেষণ করে তৃণমূল কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা দাবি করেন, যে পরিমান ভোট পড়েছে তার প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে ৬০ হাজারের বেশি মার্জিনে জিততে চলেছেন মমতা।
একাধিক রাজ্যে ভোট থাকলেও দেশের নজর ছিল ভবানীপুর উপনির্বাচনে। সারাদিন ধরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে কিছু অভিযোগ করলেও প্রমান না হওয়ায় নির্বাচন কমিশন গেরুয়াকে গুরুত্বই দেয়নি। গোটা কেন্দ্র ঘুরে এদিন চোখে পড়েছে শুধুই জোড়াফুলের ক্যাম্প অফিস। অধিকাংশ বুথে বিজেপির এজেন্টদের যেমন দেখা মেলেনি তেমন গেরুয়া ক্যাম্প অফিস খুঁজে পাওয়া যায়নি। বেলা বাড়তেই বুথ থেকে গেরুয়া এজেন্টরা উধাও হয়ে গিয়েছে। সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, দেবাশিস কুমাররা চেতলা, আলিপুর ও ভবানীপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে ঘুরে নীরবে ভোট পরিচালনা করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের দুই ঘাঁটি ৭৭ নম্বরে ৭০ শতাংশ এবং ৮২ নম্বরে ৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। চেতলা থেকে খিদিরপুর দফায় দফায় ছুটে বুথভিত্তিক কর্মীদের উৎসাহ দিয়েছেন ফিরহাদ। দলের তরফে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৭৩ ওয়ার্ডে ঘঁাটি গেড়ে বুথ ধরে ধরে দলীয় সমর্থক ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে পাঠিয়েছেন কার্তিক বন্দে্যাপাধ্যায়। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিজের বাড়ির পাশে মন্মথনাথ স্কুলে, দুপুরে চেতলা গার্লসে স্ত্রী ইসমাত হাকিম এবং দুই মেয়েকে নিয়ে ভোট দেন। বিকেল সোয়া তিনটেয় মমতা বন্দে্যাপাধ্যায় ও সাড়ে চারটেয় অভিষেক বন্দে্যাপাধ্যায় ভোট দেন মিত্র ইনস্টিটিউশনে। মমতার মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় কমিশনে প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ভোটারদের বিরক্ত করে ভোটদানে বাধা দিয়েছেন। দিনের শেষে তৃণমূল শিবিরের মুখে হাসি ফুটিয়েছে ৫৫ শতাংশ ভোট। কারণ, ২০১১ সালের উপনির্বাচনে মমতা ৭৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। সেবার ভোট পড়েছিল মাত্র ৩৯ শতাংশ। আর এবার ভোট পড়ল ৫৫ শতাংশ, তাই ফিরহাদ-দেবাশিস কুমারদের মুখে চওড়া হাসি ফুটেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *