বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হওয়ার পর দিলীপ ঘোষের ছেড়ে যাওয়া সভাপতির আসনে বালুঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বসেছেন বটে। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামাল দিতে এখনও কোনো পথের খোঁজ পান নি গৌড় বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তাই তাঁর পাশের জেলাতেই এখন বিজেপি’র গৃহযুদ্ধ চলছে।রা
একমাস আগে দল ছেড়েছেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। এবার তার অনুগামীদের বহিস্কার করলেন এক মন্ডল সভাপতি। এই ঘটনা নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল চরমে উঠেছে। এই বহিস্কার রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ষঢ়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী। বিষয়টি তাদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার এবং তা মিটিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিজেপির জেলা সভাপতি। বিজেপির এই দলীয় কোন্দল প্রসঙ্গে তৃনমূল কংগ্রেসের দাবি বিজেপি ধীরে ধীরে বাংলা থেকেই উঠে যাবে।
রায়গঞ্জের বিধায়ক কিছুদিন আগে দল ছেড়েছেন। বহু বিজেপি কর্মী ও কার্যকর্তা বিজেপি ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন শাসক দল তৃনমূল কংগ্রেসে। বিজেপির এখন নিজের ঘর সামলানোর পাশাপাশি গোষ্ঠীকোন্দল মেটানোই সবচেয়ে বড় কঠীন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সদ্য শিবিড় বদল করা রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যানী বলেন, “আমার সঙ্গে রায়গঞ্জের উন্নয়ন ও পরিষেবামূলক কাজকর্মে যুক্ত থাকার জন্য রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর ষড়যন্ত্র করে ওই দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে। তাঁর পাল্টা হুমকি সাংসদ বা দলের যদি সা্হস থাকে আমাকে বহিষ্কার করে দেখাক। আমি নিজেও শোকজের কোনও জবাব দিই নি।”