ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, করোনার মতো অসুখে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য পাঁচটি সেকেন্ডারি হাসপাতাল গড়ছে কলকাতা পুরসভা। প্রতিটি হাসপাতাল হবে ১০০ শয্যার। এখানে রোগী ভর্তি করে স্যালাইন দেওয়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের চিকিৎসা হবে।
পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কথায়, “প্রাইমারি হেলথ সেন্টার ও টার্সিয়ারি পরিকাঠামোর হাসপাতালের মধ্যবর্তী চিকিৎসা দিতেই এই নয়া চিকিৎসাকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে। মূলত গরীব ও নিম্ন আয়ের মানুষকে বিনা খরচে চিকিৎসা দিতেই পুরসভার উদ্যোগে হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে।”
প্রথম হাসপাতালটি হচ্ছে খিদিরপুরে। চলতি আর্থিক বছরেই এই নির্মাণ শুরু হবে। জমি পেলে শীঘ্রই মধ্য ও উত্তর কলকাতার পাশাাপাশি দক্ষিণ কলকাতার আরও চারটি পয়েন্টে এই পুর হাসপাতাল তৈরি হবে বলে মুখ্যপ্রশাসক জানান।
পুরসভার তথ্য, পরিযায়ী শ্রমিকদের মাধ্যমে বাইপাস লাগোয়া এলাকায় ম্যালেরিয়া ছড়াচ্ছে। কারণ, নির্মীয়মাণ বাড়িতে মশারি ছাড়াই শ্রমিকরা ঘুমাতে যাচ্ছেন। সেখানে মশার কামড়ে ওই শ্রমিকরা ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হচ্ছেন। বস্তুত ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের মশার কামড় অর্থাৎ ম্যালেরিয়া থেকে বাঁচাতে ২০ হাজার মশারি কিনছে পুরসভা। মুখ্যপ্রশাসক জানান, “পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বাইপাস লাগোয়া এলাকায় ওই মশারি বন্টনের।”