কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বঞ্চনায় টিকার জোগান না আসায় এর আগে দু’-একদিনের জন্য সাময়িক বন্ধ হয়েছে। এবার পাকাপাকিভাবে দিল্লি থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, কোভ্যাক্সিন টিকার প্রথম ডোজ আর কলকাতায় পাঠানো হবে না। অথচ ঢাকঢোল পিটিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কোভ্যাক্সিন নিয়ে সবার দেশি টিকা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু আর জোগান না পাঠানোয় কলকাতায় বন্ধ হয়ে গেল কোভ্যাক্সিন টিকার প্রথম ডোজ।
১ নভেম্বর, সোমবার থেকে ভারতীয় বিজ্ঞানীদের তৈরি করা কোভিডের এই টিকার শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দেবেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুরভবনে এই খবর জানিয়ে বিদায়ী ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্যপ্রশাসক অতীন ঘোষ বলেছেন, “শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ৩৭টি সেন্টার থেকে আপাতত দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। অন্যদিকে, কলকাতা জুড়ে পুরসভার ১০২টি সেন্টার থেকে যেমন কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে, তা চলবে।”
এখনও পর্যন্ত শহরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য অর্ধেকের বেশি মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। বাকিদেরও দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য পুরসভা কোভ্যাক্সিন জোগাড় করে রেখেছেন। বিদায়ী ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, “বুষ্টার ডোজ বা শিশুদের জন্য টিকা এলেও পুরসভা একইভাবে সব সাধারণ মানুষকেই বিনামূল্যে টিকা পৌঁছে দেবে।”
টিকার পাশাপাশি বাড়ি বাড়ি নজরদারি চালিয়ে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা উপসর্গহীন নয়া করোনা আক্রান্তর সন্ধান শুরু করেছে। পুরকর্তাদের ভয়, যদি শহরে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় তবে পুরভোট পিছিয়ে যেতে পারে। তাই যে কোনও মূল্যে সংক্রমণ কমিয়ে রাখতে চান পুরপ্রশাসকরা।