ডায়াবেটিস সে আর এমন কী! এই তুচ্ছতাচ্ছিল্যের জন্যই ভয়াবহ হচ্ছে এই অসুখ। ডায়াবেটিস হচ্ছে আরও অন্য রোগের সিংহদুয়ার। ডায়াবেটিস থেকে ক্রমে বিকল হয় নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। তাই ডায়াবেটিসকে গুরুত্ব না দেওয়া অবিবেচকের কাজ।
মানবদেহে প্যাঙ্ক্রিয়াস বা অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নি:সরণ হয়, যা দেহে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিন নি:সরণ স্বাভাবিক না হলেই রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আর তাকেই আমরা ডায়াবেটিস নামে চিনি। আমাদের দেশে টাইপ২ ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। গবেষকরা ডায়াবেটিস হওয়ার জন্য কিছু কারণ নির্দেশ করেছেন। এর মধ্যে একটি হচ্ছে হেরেডিটি; অর্থাৎ বংশ পরম্পরায় যদি পরিবারে কেউ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হন তার উত্তর প্রজন্মও ডায়াবেটিস আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়া গর্ভাবস্থায় অনেক মহিলার ব্লাড সুগার হয়, তাকে জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস বলে, যদিও সন্তান জন্মের পর তা কমে যায়। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই মহিলারা ডায়াবেটিস আক্রান্ত হতে পারেন। এছাড়াও স্থূলতা বা ওবেসিটি আর একটি ভাবনার কারণ। অতিরিক্ত মেদ ও সেন্ট্রাল ওবেসিটি বা ভুড়ি থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই যাদের মেটাবলিজম মেদবহুল তারা মিষ্টি ও শর্করা জাতীয় খাবার এড়িয়ে গেলেই ভালো। সচেতনতাই রোগ নিয়ন্ত্রণের অন্যতম পথ।