ফের একবার সামনে এল পর্যটকদের ওপর অন্যায় চাঁদার দাবিতে জুলুমবাজির ঘটনা। অবাক করা বিষয় হল, রীতিমতো বিল ছাপিয়ে গায়ের জোরে পর্যটকদের থেকে আদায় করা হচ্ছে চাঁদা। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সামনে আসা এমন অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুরুলিয়া সফির ঘিরে শুরু হয়েছে আতঙ্কও। অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছেও।
পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি এলাকায় বড়দিনের সময়ে প্রচুর পর্যটক বেড়াতে আসেন। সেই সমস্ত পর্যটকের কাছ থেকেই জোর করে চাঁদা তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি চাঁদা দিতে না চাওয়ায় একদল পর্যটককে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে স্থানীয় কিছু যুবকের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, বাঘমুন্ডির খয়রাবেরা বাঁধে যাওয়ার সময় গাড়ির নম্বর লিখে জোর করে একদল পর্যটকের থেকে গাড়িপিছু ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করার চেষ্টা করে কিছু যুবক। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বয়স্ক ও মহিলা পর্যটকদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী গাড়ির চালককে টেনে-হিঁচড়ে বের করে গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আক্রান্ত পর্যটকদলের সদস্যরা।
এই ঘটনার বিরুদ্ধে জেলার পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে ই-মেইল মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত পর্যটকরা। জানা গিয়েছে, ‘বুড়দা মধ্যপূয়া ষোলআনা কমিটি’র নামে এই চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল। গাড়িপিছু ১০০ টাকা করে আদায় করা হয় চাঁদা। ‘আদিবাসী স্টার ক্লাবের’ নামে শিলমোহরও ব্যবহার করা হয়েছে ছাপানো বিল বইয়ে।
তবে কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে এই চাঁদার জুলুমবাজি চলছে, তা নিয়েই উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। পুরুলিয়ার প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে এসে কেন আক্রান্ত হতে হবে সাধারণ পর্যটকদের? এই প্রশ্নে সরব হয়েছেন আম জনতা। এখন দেখার চাঁদার জুলুমবাজির বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর কী ব্যবস্থা নেয় পুরুলিয়া জেলার পুলিশ ও প্রশাসন।