চালু হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে বাতিল হল করোনা চিকিৎসার নতুন প্রোটোকল। করোনা চিকিৎসায় নিষিদ্ধ হল মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি এবং মলনুপিরাভিরের ব্যবহার। ফলে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ওপর প্রয়োগ করা ককটেল থেরাপি এখন প্রশ্নের মুখে।
আইভরমেকটিন , ডক্সি সাইক্লোনের বদলে গত ৩১ ডিসেম্বর মনো ক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি এবং মলনুপিরাভিরের ব্যবহারে মান্যতা দেয় স্বাস্থ্য ভবন। চালু হয় নতুন প্রোটোকল। এর পরেই নতুন এই চিকিৎসা ব্যবস্থার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। এমনকী, স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের একাংশও নতুন এই ব্যবস্থায় উষ্মা প্রকাশ করে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের কাছে আপত্তির কথা জানান। তাঁদের যুক্তি, প্রথমত, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ডেল্টাকে ছাপিয়ে প্রভাব বিস্তর করছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। অথচ নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি ওমিক্রন প্রতিরোধে আদৌ কতটা কার্যকর, তার প্রমাণ মেলেনি। উল্টে স্বাস্থ্য ভবনের নতুন প্রোটোকলে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল থেরাপির নীচে লাল কালিতে লেখা রয়েছে যে, এটি ওমিক্রনের চিকিৎসায় ততটা কার্যকর নয়। এদিকে, এই ককটেল থেরাপির জন্য খরচ ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা। চিকিৎসকদের একাংশের প্রশ্ন, আইসিএমআর বা কেন্দ্রের কোনও নির্দেশিকা ছাড়াই কেন এই নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি প্রোটোকোলে আনা হল? তাঁদের প্রশ্ন, এত দামী এই চিকিৎসা পদ্ধতি কীভাবে সরকারি হাসপাতালে দেওয়া সম্ভব হবে? প্রশ্ন উঠেছে কালোবাজারির সম্ভাবনা নিয়েও। তাছাড়া, প্রোটোকলে কোন বয়সের আক্রান্তের চিকিৎসায় কী পরিমাণ ওষুধ ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়েও স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এরপরেই স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এই দুই চিকিৎসা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করেন। তবে নতুন কোনও প্রোটোকল এখনও ঘোষণা করা হয়নি। ফলে করোনার চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।